E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে ঈশ্বরদীতে মমতাজ মহলের নিরন্তর প্রচেষ্টা, তবু...

২০২০ মে ২৪ ১৪:৫৩:২২
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে ঈশ্বরদীতে মমতাজ মহলের নিরন্তর প্রচেষ্টা, তবু...

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশিনার (ভূমি) মমতাজ মহল নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি হ্যান্ডমাইক নিয়ে জনসচেতনতা তৈরীর জন্য চষে বেড়াচ্ছেন ঈশ্বরদীর বিভিন্ন হাট-বাজার ও জনসমাগম এলাকা। দুই মাস যাবত ঈশ্বরদীবাসীকে করোনার হাত হতে রক্ষার জন্য তাঁর এই প্রচেষ্টা। আবার সন্ধ্যার পর বাড়ি বাড়ি যেয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর কাজেও তিনি হাসিমূখে করে চলেছেন। প্রতিদিনই আইন অমান্যকারীদের নিকট হতে জরিমানাও আদায় করছেন। জরিমানা আদায় করা মূখ্য নয়, জনসচেতনা তৈরী করে মানুষকে বিপদ হতে রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য বলে তিনি জানিয়েছেন। মাইকে চেঁচাতে চেঁচাতে মূখে ফেনা তুলে ফেলছেন। তবু সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা হাট-বাজার করতে এই ২০২০ সালে পৃথিবীর এই ক্রান্তিলগ্নে ঈশ্বরদীর মানুষ বাজার করতে আর দোকানদাররা বিক্রি করতে বেসামাল হয়ে পড়েছে।

মমতাজ মহল বলেন, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও হাট-বাজারে করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষে-মানুষে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার নির্দেশনা অনেকেই মানছেন না। ক্রেতা-বিক্রেতারা একে অন্যের গা-ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার রা হচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না কেউ। ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ ও সেনাবাহিনী দেখলেই দ্রুত স্টকে পড়ছে। আমরা চলে গেলে আবার ভীড় জমাচ্ছে।

ঈদের জন্য গত ১০ই মে হতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা অবধি সকল দোকানপাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনার সাথে সাথে সকল হাটবাজারে করোনা ঝুঁকির কথা অগ্রাহ্য করে জামা-কাপড় কেনার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে গত ১৯ শে মে পাবনা জেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় ছাড়া হাট-বাজারের অন্যান্য দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেন। তবু ক্ষ্যান্ত দেয়নি ক্রেতা ও বিক্রেতা। ফজরের নামায পড়ে ভোর ৬টায় দোকান খুলে ১০ পর্যন্ত চলতে থাকে বেচাকেনা। এরইমধ্যে গুজব রটানো হয় টাকা দিলে প্রশাসন ম্যানেজ হবে। যেকারণে শনিবার মমতাজ মহল ঈশ্বরদী বাজারসহ অন্যান্য এলাকায় ছুটে বেড়িয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন, প্রশাসনের কথা বলে কাউকে যেন টাকা দেয়া না হয়।

ঈশ্বরদীসহ আশেপাশের হাট-বাজারের কাপড়-গার্মেন্টস্সহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রেতারা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ রেখে সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। খরিদ্দার পেলে টুক করে মালামাল বের করে দেন। ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ মহল ঢুকলে দৌড়াদৌড়ি করে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। তাঁরা ওই এলাকা হতে চলে যাওয়ার পর আবারো বিক্রি শুরু করেন। অবস্থাদৃষ্টে যেন চলছে চোর-পুলিশ খেলা ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব রায়হান জানান, আমি ও আমার এসি ল্যান্ড মমতাজ মহল নিজেদের পরিবারের দিকে না তাকিয়ে দায়িত্ব নিয়ে দিনরাত খেটে মরছি। বাঁচতে হলে নিজেদের সচেতন হতে হবে। সচেতনতার জন্য আমরা সর্বান্তকরণে প্রচেষ্টা চালিযে যাচ্ছি। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, ঈদের রঙিন পোশাক কিনতে গিয়ে যেন সাদা পড়তে না হয়।

ভূমি অফিসের কর্মচারী, সেবা নিতে আসা জনসাধারণের সাথে আলাপ করে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের গত ২০ নভেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে মমতাজ মহল ঈশ্বরদীতে যোগদানের পর ভূমি অফিস এখন দুর্নীতি মুক্ত ঘোষণা করেন। তখন থেকেই তিনি হাতে নিয়েছেন ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড। অফিস থেকে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানি মুক্ত করেছেন। তাৎক্ষনিকভাবে সেবা নিতে আসা মানুষকে সেবা প্রদান করে নির্মূল করেছেন জনভোগান্তি। ভূমির সকল নাম জারি মামলা নিজের হাতে অনলাইন ভূক্তের কাজ করেন। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নাম জারির কাগজ পত্র প্রদান করেন। একই সাথে অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পড়িয়েছেন উন্নত মানের বিশেষ সম্মানিত পোশাক।

(এসকেকে/এসপি/মে ২৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test