E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দরপত্র ছাড়াই ১৪টি গাছ কাটার অভিযোগ অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে

২০২০ জুলাই ১৩ ১৮:৩১:০০
দরপত্র ছাড়াই ১৪টি গাছ কাটার অভিযোগ অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একই সাথে অবস্থিত দূর্গাদাস হাইস্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন প্রজাতির ১৪টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। 

কোন প্রকার দরপত্র আহবান করা ছাড়াই হরিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুর্গাদাস স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন নতুন ভবন নির্মানের অজুহাতে গাছগুলো বিক্রি করেছেন একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে।

এই ১৪টি গাছের মধ্যে দীর্ঘ পুরনো মেহগণি, আম, কাঁঠাল, গাছ রয়েছে। গাছগুলো মাত্র ২ লাখ ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় বলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আলী হায়দার সরদার নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (১৩ জুলাই) গাছ কাটা শুরু হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মো. রায়হান জানতে পেরে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, হরিপুর দূর্গাদাস স্কুল এন্ড কলেজ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বিল্ডিং অনুমোদন হয়েছে। এই সুযোগে প্রাথমিক বিদালয়টির ভবন পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করে স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি। সে মোতাবেক পূর্বপাশের ১৪টি গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছগুলো মাত্র ২ লাখ ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

সোমবার সকালে গাছের ক্রেতা গাছ কাটা শুরু করলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এর মধ্যে ৭টি গাছ কাটা হয়ে যায়। এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে হরিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলী হায়দার সরদার গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করে জানান, গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্তে একটি উপ-কমিটি গঠণ করে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।

হরিপুর দূর্গাদাস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেন বলেন, প্রাইমারী স্কুলের নতুন ভবন করার জন্যই এই গাছ বিক্রি করা হয়েছে। বিষয়টি একটু দেখবেন। লেখালেখি হলে হয়তো বিল্ডিংটি হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান বললেন, খবর পাওয়ার পরই গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। পরিমাপ করে আগে দেখা হবে, সেগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিনা। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test