E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বন্দর থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জনির সহযোগীর রহস্যজনক মৃত্যু

২০২১ জুন ০৪ ১৮:১৯:৩৬
বন্দর থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জনির সহযোগীর রহস্যজনক মৃত্যু

এমডি অভি, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বন্দর থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ ব্ল্যাক জনির অন্যতম সহযোগী মুক্তার হোসেন (৪০) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ২রা জুন বুধবার দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এর উওর নৃশং এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র মুক্তার হোসেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন তথা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের মাদকের গডফাদার ব্লাক জনির অন্যতম সহযোগী ছিল। ব্লাক জনির বিরুদ্ধে বন্দর থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা সহ অন্যান্য মামলা রয়েছে৷

তবে মুক্তার এর মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে ধারণা করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের মধ্যে কয়েকজন। তবে মুক্তারের পরিবারের দাবি মুক্তার এর মৃত্যু স্ট্রোক জনিত কারণে হয়ে থাকতে পারে এবং এটা স্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা তাদের৷ অপর দিকে মুক্তার মারা যাওয়ার আগের দিন রাতে বাসায় ছিলেন না এবং দুপুরের আগে তার বাড়ির অদূরে একটি বিলের মধ্যে থেকে তিন-চারজন যুবকের সহায়তায় তাকে বিলের পাশে রাস্তায় একটি বন্ধ দোকানের সামনে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়া অবস্থায় আনা হয় এবং তার শরীরে ও মুখমণ্ডলে রক্ত ধৌত করার জন্য পানি ঢালা হয়। পরবর্তীতে তাকে বাড়ির সামনে নিয়ে আসা হলে তার মৃত্যু ঘটে। এই বিষয়ে মৃত মুক্তারের স্ত্রী কাকলী জানান, একটি বাচ্চা মেয়ে তাকে এসে বলেন যে তার স্বামী মুক্তার এর অবস্থা ভালো না এই শুনে তিনি তখন মুক্তারের কাছে ছুটে যান।

এদিকে মুক্তারের মৃত্যুর পর তাকে দাফন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

অপরদিকে মুক্তারের সার্বক্ষণিক সহযোগী শাহীন ও তুহিনকে এই বিষয়ে পুলিশ বক্তব্য নেওয়ার জন্য খোঁজ করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ অন্যান্য দু-একজন প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নিয়েছেন যার মধ্যে মুক্তার এর সহযোগী শাহিনের চাচা বশির মিয়া বক্তব্য দিয়েছেন মুক্তার এর মৃত্যুর প্রসঙ্গে।

(একে/এসপি/জুন ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test