E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যমুনার ভাঙনে আলিপুরের স্কুল-মসজিদ-মাদ্রাসা বিলীন

২০২১ আগস্ট ০৩ ১৭:৩০:০০
যমুনার ভাঙনে আলিপুরের স্কুল-মসজিদ-মাদ্রাসা বিলীন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে আবার যমুনার তীব্র ভাঙনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা ও আলিপুর হাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থেমে থেমে যমুনা নদীর পানি ফুলে- ফেঁপে উঠে মুহূর্তের মধ্যে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হাটের সব স্থাপনায় আঘাত হানে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে আবার কয়েক দফায় এসব স্থাপনা নদীর পেটে চলে যায়। ভাঙনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে আলিপুর গ্রামটিই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমান আলী, রমজান আলী, ইউসুব প্রামাণিক, মো. আব্দুর রশিদ সহ অনেকেই জানান, চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে সব বিলীয় হয়ে যায়- তারা কিছুই করতে পারেননি। মসজিদের আসবাবপত্র সরানোর সুযোগও পাননি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার কয়েকটি বেঞ্চ সরাতে পেরেছেন।

গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক জানান, সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩নং বেলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ঘর, স্থানীয় মাদ্রাসার তিনটি ঘর, আলিপুর জামে মজজিদ ও আলিপুর হাটের ৬-৭টি স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শুধুমাত্র কয়েকটা বেঞ্চ বের করে সরানো সম্ভব হয়েছে। বাকি সব যমুনা গিলে খেয়েছে। এছাড়াও আশ পাশের কয়েকশ’ বাড়িঘর ও ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে।

গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার জানান, গত ২৩ জুলাই রাতে কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভৈরববাড়ী ও গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। এ সময় ৯২টি পরিবারের বাড়ি পুরোপুরি যমুনার পেটে চলে যায়। সোমবার(২ আগস্ট) বিকাল থেকে রাতের মধ্যে আবার যমুনার ভাঙন শুরু হয়। কয়েক দফায় স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও হাঠের ঘর যমুনায় চলে যায়।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গ্রামটির বেশ কিছু অংশে পাউবো’র গাইড বাঁধ দেওয়া হয়েছে। গাইড বাঁধের পর যমুনার বাম তীরে পাউবো ৩০০মিটার এলাকায় প্রায় ৫৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। কিন্তু যমুনার ঘূর্ণাবর্ত উল্টোস্রোত দক্ষিণ দিক থেকে এসে জিও ব্যাগের প্রতিরোধ সহ বাড়িঘর ও স্থাপনা ভেঙে ফেলছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, জরুরিভাবে ওই এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভান রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিক সঙ্কটের কারণে জিওব্যাগ ফেলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিক পাওয়া গেলে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হবে।

(আরকেপি/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test