E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেক জালিয়াতি মামলায় রিমান্ডে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি সুজন

২০২১ সেপ্টেম্বর ০১ ২২:৪৩:৪৩
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেক জালিয়াতি মামলায় রিমান্ডে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি সুজন

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ৬ লাখ টাকা চেক জালিয়াতি ও আত্মসাতের মামলায় বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি শেখ আমিনুর রশিদ সুজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক  হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রহিমের সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুরকৃত শেখ আমিনুর রশিদ সুজন (৩৮) সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বুলারাটি গ্রামের সৈয়দুল আলমের ছেলে। তিনি দি স্যান পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকার সাতক্ষীরার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বলে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় জেলা পরিষদের নামে খোলা একাউন্টের চেকের তিনটি পাতা চুরি হয়। সেই চেকের পাতায় জাল স্বাক্ষর করে সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা থেকে একটি পাতায় ৬ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আরও একটি চেক নিয়ে টাকা উত্তোলনকালে ঘটনাটি জেলা পরিষদকে অবহিত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি বুঝতে পেরে প্রতারক ব্যাংক থেকে সটকে পড়ে।

তিনি আরো জানান, পরবর্তী এ ঘটনায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে গত বছরের ২৯ আগষ্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় ৭২ নং মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তকালে সোনালী ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমিনুর রশিদ সুজনের সঙ্গে সম্ভাব্য টাকা উত্তোলনকারির পিছনের অংশ দেখে গত ২৫ আগষ্ট বুধবার আটক করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত বুধবার রিমান্ড শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের একজন দায়িত্বশীল কর্মচারি জানান, সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ভিডিও ফুটেজে সুজনকে যেভাবে চেক উত্তোলনকারি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি মিল রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রিশিয়ান ইউনুছ আলীর। বিষয়টি ভালভাবে পরীক্ষা করলে নিশ্চি হওয়া যাবে যে প্রকৃত দোষী ইউনুছ না সুজন। আবার ইউনুছের সঙ্গে অফিসের কার কার যোগসূত্রতা আছে ? আবার খেয়াঘাটের ইজারার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা আছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, বিচারকের লিখিত আদেশ হাতে পাওয়ার পরপরই সুজনকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য জেলখানা থেকে তাদের হেফাজতে আনা হবে।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test