E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ৩৭৬ কোটি টাকার কাজ! 

২০২২ জুলাই ২৪ ১৮:৫১:২৮
মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ৩৭৬ কোটি টাকার কাজ! 

একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ (ফেজ-২) এর কাজের মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হলেও এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে কাজ। কাজের ধরণ ছিলো প্রতিরক্ষা, মেরামত, পুর্ণবাসন, ড্রেজিং। মেয়াদ শেষ হলেও কাজ সম্পূর্ণ না হওয়াতে কাজের মান নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ। তবে বিল পরিশোধ না করে আটকে রাখার দাবী পাউবোর। 

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ৩৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলা শহর রক্ষা বাঁধ (ফেজ-২) ৭কিলোমিটার প্রতিরক্ষা কাজ শুরু হয়েছে গত বছর। যার মধ্যে সাড়ে ৪ কিলোমিটার নতুন স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ, আড়াই কিলোমিটার মেরামত কাজ,১.৬ কিলোমিটার পুর্ণবাসন কাজ ও ৮.৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ। ড্রেজিংয়ে ৭৫ কোটি, প্রতিরক্ষা কাজে ৩শত কোটি, ড্রেজিং খাতের সাশ্রয়কৃত অর্থ দ্বারা ৯টি প্যাকেজের ৯৫ কোটি টাকা ব্যায়ে কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

৯টি প্যাকেজের কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঠিকাদার তায়জুল ইসলাম সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৫০ মিটার, ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০০ মিটার ফরিদপুর জান্নাত কনস্ট্রাকশন কে কে (জয়েন্টভেঞ্চার), ৩০টি কোটি টাকা ব্যায়ে ৩টি প্যাকেজ ৬০০ মিটার গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫০ মিটার সেহা শেখ ইমদাদুল হক এমএন কনস্ট্রাকশন, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫০ মিটার শামীমুর রহমান, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০০ মিটার টেব ব্রে, ১৫০ মিটার ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আমিন এন্ড কং কাজ করছেন।

রবিবার সরেজমিনে রাজবাড়ী পদ্মার পারে (গুদার বাজার) গিয়ে দেখা যায়, সাব ঠিকাদার কাজ করছেন। ব্লক তৈরী, ড্রাম্পিং কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা। ব্লক তৈরিতে সাদা বালি ব্যবহার হচ্ছে। পাথরও লাল রঙের। শুধু জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। বাকি কাজ কবে হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলেন, পদ্মানদীতে যখন পানি বৃদ্ধি পায় ঠিকাদাররা তখন তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেন। প্রতি বছর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আতঙ্কে থাকতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কাজ করলে ভালো মতো কাজ করা যায়। কিন্তু পানি বৃদ্ধির সময় কাজ করার ফলে অনেক সময় আবার ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যায়। ড্রেজিংয়ের বালি নদীতেই ফেলানো হয়। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয় না।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, গত বছর ১৫ মার্চ থেকে কাজ শুরু হয়।চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। তবে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। কাজটি সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন করতে ট্যাক্সফোর্স সব সময় কার্যক্রম মনিটরিং করে। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সময় বৃদ্ধির আবেদন করেনি।

(একেএমজি/এসপি/জুলাই ২৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test