E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পারিবারিক বিরোধের জেরেই কলেজ ছাত্র সাদ্দাম খুন, চাচা গ্রেফতার

২০২২ ডিসেম্বর ১৫ ১৯:১৬:১৯
পারিবারিক বিরোধের জেরেই কলেজ ছাত্র সাদ্দাম খুন, চাচা গ্রেফতার

কেন্দুয়া প্রতিনিধি : পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জেরেই নির্মমভাবে খুন হয় বানেটেক কলেজ ছাত্র সাদ্দাম হোসেন। এ খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ প্রথমে সাদ্দামের প্রেমিকা লিপা ও তার ভাই শামীমকে গ্রেফতার করলেও ২ মাস পর নানা তথ্যের ভিত্তিতে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সাদ্দামের চাচা নাইম উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম ওরফে কালা মিয়াকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠালে আদালতের বিচারক কালা মিয়ার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একেই সঙ্গে শুনানির পর রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। 

চলতি বছরের গত ৮ অক্টোবর রাতে খুন হন কলেজ ছাত্র সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের কন্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউই তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে সাদ্দাম খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে লিপা ও তার ভাই শামীমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত প্রথমে তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিছু দিন জেল হাজতে থাকার পর তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, সাদ্দামের পরিবারের সাথে তার চাচা কালা মিয়ার জমি জমা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। কালা মিয়ার দুই স্ত্রী। স্ত্রীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হত। একদিন সাদ্দাম তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনায় লিপ্ত হয়ে পরে। এ ঘটনার পর কালাম সাদ্দামকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।

সাদ্দাম খুনের ঘটনায় তার মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরোধে গত ১০ অক্টোবর কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার পর লিপি ও তার ভাই শামীমকে গ্রেফতার করলেও ২ মাস পর হত্যা ঘটনার মোড় নেয় অন্য দিকে। পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার বিরোধেই চাচা কালামের হাতেই নির্মমভাবে খুন হন কলেজ ছাত্র সাদ্দাম, এরকম সন্দেহেই চাচা কালা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করার আদেশ দেন একই সঙ্গে কালা মিয়াকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(বিএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test