E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বামনায় আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষিকা!

মুচলেকা দিয়ে ছাড়ালেন শিক্ষা অফিসার

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৬:২৪:৪০
মুচলেকা দিয়ে ছাড়ালেন শিক্ষা অফিসার

আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনার বামনা উপজেলার ৩০ নং ছোট ভাইজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজেলন্দ শীল (৪২)কে একই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকাকে আপওিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে আটক করে এলাকাবাসী।

গত সোমবার বিকাল ০৫টার দিকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে আটক করে। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ওইদিন রাত ১১টার দিকে বামনা থানা থেকে তাদেরকে মুসলেকা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এবিষয় নিয়ে বর্তমানে ওই এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোপ ও নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন, স্থানীয় দোকানী হাকিম এবং মিরাজের পুত্র মেহেদী জানায়- আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে এসে দেখতে পাই বিদ্যালয়ের নিচের গেটে তালা দেওয়া এবং দোতলায় লোকজন আছে বলে টের পাওয়া যায়। পরে আমরা রেলিং বেয়ে দোতলায় উঠে প্রধান শিক্ষকের রুমের জানালার ফাক দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে দেখতে পাই। পরে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে দোতলায় উঠছি কেন বলে হুমকি দেয়। আমরা এই নিয়ে তার সাথে কথা বলার ফাকে মহিলা শিক্ষিকা কাপড়-চোপড় পরে পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতন্ডার মধ্যে এলাকার লোকজন জড়ো হয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু সালেহ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত এগারটার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল মুসলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

তারা আরও জানান- তারা প্রায়ই স্কুল ছুটির পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দু জানান আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালেহ জানান, ঘটনা সত্য, আমি শুনে সাথে সাথে স্কুলে আসি।এসে দেখি অনেক লোকজন এবং অফিস তালা মারা।পরে তালা খুলে দুজনকে স্কুল থেকে বেড় করা হয় এবং পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এবিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্তকারী সুজেলেন্দু শীল স্বজল এর সাথে শত যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নী এবং তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল জানান- এবিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স। আমি প্রধান শিক্ষককে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি এটা সত্যি কিন্তু আমি লোক মারফতে শুনেছি। তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং আমি নিজেই সরেজমিনে তদন্ত করে দেখবো। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি, প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এবিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো এবং প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

পরে বামনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্মলচন্দ্র শীল তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মুসলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

(এএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test