E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পুলিশের মানবিকতার দৃষ্টান্ত নীলফামারীতে

২০২৩ মার্চ ০৫ ১৪:২০:৪৫
পুলিশের মানবিকতার দৃষ্টান্ত নীলফামারীতে

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারীর নটখানা এলাকার রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকা বৃদ্ধটির পরিচয় পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটায় নটখানা এলাকার রেল লাইনের একটি পুলের নিচে এক ব্যাক্তিকে অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় হামিদুল ইসলাম ও সাকিবুল ইসলাম সজল নামের দুই বন্ধু।

বিষয়টি নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম কে অবহিত করা হলে তিনি তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ এ্যাম্বুলেন্সও চলে আসে। পুলিশের এমন মানবিক ভূমিকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা কাজী আলমগীর হোসেন রাজা বলেন, রেল লাইনের ধারে একজন বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে একজন খবর দিল। আমরা দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছি। অবহিত করার প্রায় সাথে সাথে এতো দ্রুত সেবা এর আগে কখনো দেখিনি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজেই চলে এসেছেন, সেই সাথে একজন চিকিৎসক ফাস্ট এইড বক্সসহ এ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ব্যাক্তিটিকে উদ্ধার করেছে।

এলাকার হামিদুল ইসলাম ও সাকিবুল ইসলাম সজল ঘটনাস্থলে ব্যাক্তিটিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তারুল আলমের সাথে কথা হয় উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ও দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সাথে।

তিনি জানান, একজন বৃদ্ধ লোক রেল লাইনের ধারে পড়ে আছে-এই তথ্য পাওয়ার পর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে চলে আসি। আমরা লোকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছি।

শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত পুলিশে হেফাজতে থেকে, ব্যাক্তিটিকে পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়েছে। রেল লাইনের ধারে পড়ে থাকা ব্যাক্তিটি হলেন শহরের জোড় দরগা মসজিদের খাদেম তৈয়ব আলী। সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে একমাত্র মেয়ে মমিনা বেগমের বাড়িতেই তিনি থাকেন।

মমিনা বেগম বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে আমার বাবাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেছিলাম কিন্ত খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

শহরের জোড় দরগা এলাকার দুই মেয়ে দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করা ছোট ভাই মোফাজ্জল ও তৈয়ব আলী একই বাড়িতে থাকলেও কেউ কারো খোঁজ রাখে না।

নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুজলা রাণী জানিয়েছেন, তৈয়ব আলী ভালো আছেন। তার কিছু টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে।

(ওআরকে/এএস/মার্চ ০৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test