E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ

২০২৩ মার্চ ০৮ ১১:৪৬:০৪
সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাগমাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষককে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভক্তভোগী শিক্ষককের নাম মোছাঃ শামীমা আক্তার রেখা।

এমন অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান ওরফে সোহানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সোহান বাগমাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি।

ভূক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামীম আক্তার রেখা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সরকারি ভাবে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। সেই টাকা থেকে একটি অংশ চেয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান ওরফে সোহান মাস্টার। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করেননি এবং আমাকে মারপিট করেছেন।

যানা যায়, ঘটনার সময় স্থানীয় বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বৃত্তি পরিক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ইউনিয়নের মৈলবী সাবের হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী বৃত্তি না পাওয়ায় বাগমাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন মহলে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলার বিষয়টি সমাধানের জন্য মৈলবী সাবের হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক রব্বান শেখ ওরফে নাজিম উদ্দিন মাস্টারের বাড়ীতে বসাবসি হয় এবং উভয় শিক্ষককের মধ্য কথাকাটাকটি হয়। এ সময় সোহান মাস্টার তার চাচাতো ভাই নাজিম উদ্দিন মাস্টারের পক্ষ নিলে রেখা মাস্টারের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়।

অভিযুক্ত শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান ওরফে সোহান মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি আপনার সাথে পরে কথা বলবো। আপনি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।

বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সজিব হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এএস/মার্চ ০৮, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test