E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শ্রীনগরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

২০২৩ এপ্রিল ১৫ ১৮:৪৯:২৮
শ্রীনগরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

শ্রীনগর প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দয়হাটা গাউসুল আযম জিলানীয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল  পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে। অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও টাকার বিনিময়ে দাখিল পরীক্ষায় সুযোগ তৈরী করে দেওয়াসহ নিজ অফিস কক্ষে আলাদাভাবে বিশ্রামাগার ও বই বিক্রির টাকা কোষাগারে জমা না দেওয়ারও অভিযোগ আছে  তার বিরুদ্ধে। 

কিছুদিন আগে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের দাবিকৃত টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে এক ছাত্রীর কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এতে শোনা যায়, সুপারিনটেনডেন্ট সোহরাব হোসেন এক ছাত্রীকে দাখিল পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়া জন্য সাড়ে ৬ হাজার টাকা নেওয়ার দাবি করছেন। ওই ছাত্রীকে একা দেখা করার কথা বলছেন।

স্থানীয়রা জানায়, সোহরাব হোসেন ঠিকমত কর্মস্থলে আসেন না। অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও রেকর্ডটি ভাইরাল হলে মানুষ মুখ খুলতে শুরু করে।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও তরুণ এক মুদি দোকানী জানান, সোহরাব হোসেনের অনিয়মের বিষয়টি এলাকায় এখন ওপেনসিক্রেট। অতিরিক্ত টাকা আদায়, গোপনে বই বিক্রি করা, কোচিং বাণিজ্য করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অপর একটি সূত্র জানায়, সোহরাব হোসেনের বাড়ি বরিশালে। এক স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। কয়েক বছর আগে দুই স্ত্রীর বিরোধের জেরে সোহরাব হোসেন জেল হাজতে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ সোহরাব হোসেনের অফিস কক্ষে তালা ঝুলছে। এ সময় সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. নেছারউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুপারিনটেনডেন্টের কোন খাস কামরা নেই। আলাদাভাবে শুধু একটি খাট পাতা হয়েছে। দাখিল পরীক্ষার ফরম ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় ফরম ফিলাপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই বলতে পারবেন। মোট কতজন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী এই প্রতিষ্ঠানে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই। একজন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে আপনার প্রতিষ্ঠানের এসব তথ্য জানা নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

ফরম পূরণ কমিটির সদস্য সহকারী শিক্ষক কাজী আব্দুর সুকুরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানিনা। এ ব্যাপারে জানতে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ সোহরাব হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শ্রীনগর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মোখলেছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ আমার কাছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট কোন অভিযোগ করেনি।

(এআই/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test