E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তাতীপাড়ায় সাঁকোর পরিবর্তে হচ্ছে ব্রীজ দশ গ্রামের মানুষের মুখে হাসি

২০২৩ জুলাই ০৬ ২১:০৪:১৩
তাতীপাড়ায় সাঁকোর পরিবর্তে হচ্ছে ব্রীজ দশ গ্রামের মানুষের মুখে হাসি

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : ছিল লক্কর ঝক্কর আধা ভাঙা বাঁশের সাঁকো। ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করত যাত্রী সাধারন ও ছোটখাটো যানবাহন। সরেজমিন গিয়ে মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য “যানবাহনের ভারে সাঁকো ভেঙে পরার আশংকা” শিরোনামে চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙে। দেয়া হয় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। ব্রীজ হলে ১০ গ্রামের মানুষের মুখে ফুটবে হাসি। 

জানা যায়, গত ২৮ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব স্বাক্ষরীত এক পত্রে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এডিপির বিশেষ বরাদ্দ দেয় ৫০ লক্ষ টাকা। ওই চিঠিতে বলা হয় নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রস্তাবিত প্রকল্পে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হবে।

কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান আকন্দ জানান, তার ইউনিয়নে জনগনের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল তাতিপাড়া বাশের সাঁকের পরিবর্তে নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের মতামত দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬ জুন উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে তাঁতীপাড়া ব্রীজটি নির্মিত হলে ব্রীজের পশ্চিম পারের চাপুরি, কুতুবপুর, সরিদাকান্দা, কলসাটি, ফতেপুর, তাতীপাড়া ও পূর্বপাশের রোয়াইলবাড়ি, রাজনগর, আমতলা ও নিলাম্বরখিলা গ্রামের অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষের চলাচলের কষ্ট দূর হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, পশ্চিমপারের ছাত্র-ছাত্রীরা এই ব্রীজের ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে রোয়াইলবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে পারবে এবং পূর্ব পাশের ছাত্র-ছাত্রীরা কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের হাতে গড়া শহিদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে গিয়ে সুন্দর ভাবে লেখাপড়ার করার সুযোগ পাবে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই ব্রীজটি নির্মিত হলে তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করে সহজেই আয়রোজগার বাড়াতে পারবেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কেন্দুয়া উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তাতীপাড়া বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে জনস্বার্থে ডাবল বক্স কালবার্ট নির্মানের জন্য টেন্ডার হয়েছে। ৬ জুন উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংসদ সদস্যের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়ে টেন্ডারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ঈদের পর অফিস খোলা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা তাতিপাড়া এলাকায় গিয়ে কাজ শুরু করার পদক্ষেপ নেব। তবে যেহেতু বর্ষাকাল যদি পানি বেশি থাকে তবে পানি কমার পর কাজ শুরু করতে হবে।

(এসবিএস/এএস/জুলাই ০৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test