E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ময়মনসিংহ জেলা যানজট ও ট্রাফিক বিভাগের মহা পরিকল্পনা ও খতিয়ান

২০২৩ জুলাই ২৫ ১৯:৫৪:১৯
ময়মনসিংহ জেলা যানজট ও ট্রাফিক বিভাগের মহা পরিকল্পনা ও খতিয়ান

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের  বাংলা ৭১ এর ব্যুরো চীফ চিন্তা করলেন,  ময়মনসিংহ ট্রাফিক ইনেসপেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি, ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপদে অধিকাংশ সময় তার কেটেছে- ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের সেবায়, ময়মনসিংহ শহরে চলাচল রত মানুষ ও যান বাহন নিয়ন্ত্রনে সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের ঠোটস্থ।

আমি সৈয়দ মাহাবুবুর রহমানের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, ময়মনসিংহ শহর ও শহরের মানুষ কিভাবে কেমন এই দুঃসহ যানজট থেকে মুক্তি পাবে, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল যানজট মুক্ত পরিবেশে ফিরে যেতে পারব?

কিছুক্ষণ ভাবনা ভেবে ট্রাফিক ইনেসপেক্টর (টি আই) সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান বলেন বাসযোগ্য সুব্যবস্থা করন সম্পুর্নই ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজ।
তবে আমার ভাবনা বা আমার দপ্তরে যা আমি অবগত করছি, এবং এই সংক্রান্ত যে চিন্তাটা আমি আমার মনে সহসাই ঘুড়পাক খায় তা হলো, মৌলিক চিন্তার মাধ্যমে সমস্যার গভীরে যাওয়া এবং সমস্যার সমাধান যাওয়া।

সমস্যা টা কি?

টি আই সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান বলেন, রেল এবং রেলজংশনের কথা বলেন।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহ রেলজংশন বা ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেষন কেন্দ্রিক প্রতিদিন সকাল ০৭০০- থেকে রাত্রী ১১০০- পর্যন্ত (বন্ধের দিন ছাড়া)মোট ২৬( ছাব্বিশ) টি ট্রেন মোট ৪৭ বার আপ- / ডাউন করে-অর্থাৎ আসে এবং যায়।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কেওয়াট খালী থেকে ঘুন্টি রেল্ক্রোচিং পর্যন্ত মোট ১০(দশ) টি রেলগেইট আছে। তিনি বলেন এই ক্ষেত্রে প্রতিবার ট্রেন চলাচলের সময় প্রতিটি গেইটে ০৫ (পাঁচ) মিনিট বন্ধ রাখা হয় এবং ট্রেন যাওয়ার পরে ট্রাফিক সচল হতে কমপক্ষে ০৫(পাঁচ) মিনিট সময় লাগে সেই সেই হিসেবে ৪৭ পুরন ১০সমান ৪৭০ মিনিট, প্রায় ০৮(আট) ঘন্টা যানবাহনে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

যদিও সময় সীমা প্রসংগে অনেকেই বলেন সময় আরও বেশী নষ্ট হয়, উল্লেখ্য সকাল ০৭০০-রাত ১১০০ ঘটিকা পর্যন্ত ট্রাফিক চলাচলের পিক আওয়ার।

এই সময়ের মধ্যে শহরের প্রানকেন্দ্র দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য ০৮ ঘন্টা কিংবা এরও বেশী সময় যান বাহন চলাচলের বিঘ্ন হওয়ায় এর প্রভাব পড়ে পুরো শহরে। ফলে শহরের বিভিন্ন স্থানে চরম যানজট ও জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

সৈয়দ মাহবুবর রহমান বলেন আমি যা বললাম তা হচ্ছে পুরোটাই টেকনিক্যাল বিষয়। সরেজমিনে দেখা গেছে- জিরো পয়েন্ট হতে পাটগুদাম ও অনেক এলাকার আশে পাশে অনেক পতিত জায়গা সড়ক ও জনপদের, কিন্তু কেউই জায়গা ছাড়্যতে রাজি নয়, বা অজ্ঞাত কারনে জায়গা ছাড়তে পারছে না। ফলে ময়মনসিংহ বিভাগ হবার পর যেমন আবাসন বাড়ছে, তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহন ও জনগোষ্টি।

জানা গেছে, উল্লেখযোগ্য যানজট বৃদ্ধির কারন দেখিয়ে মসিক মেয়র যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন, অপরদিকে জেলা ট্রাফিক অফিস চিঠি পাঠিয়েছেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কাছে।

অন্যদিকে সড়ক ও জনপদ ঢাকায় তাদের কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন, তারা বলেছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন্টি অন্যত্র সুবলিধাজনক স্থানে স্থানান্তরিত হলে আংশিক জনদূর্ভোগ কমে যাবে-।শহরের মধ্যবর্তী স্থানে ময়মনসিংহ রেলজংশনটি থাকার কারনে এই জন দূর্ভোগ, কেনোনা- পূর্বেই উল্লেখ করেছি শহরের মধ্যবর্তী স্থানে ১০টি রেল গেট এবং প্রতিনিয়ত ৪৭ বার এই শহরের উপর দিয়ে আপ/ ডাউন করছে ট্রেন আর এই ১০টি রেলগেইট স্থাপিত জনাকীর্ণ ও ব্যাবসায়ী এলাকায়।

প্রকৃত সত্য এই যে মুলত ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন টি স্থানান্তরিত না হলে এই ভাবেই জনদূ্র্ভোগ বারতেই থাকবে।সুতরাং বর্তমান সময় ওস্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এই রেলপথ স্থানন্তর একটি জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ হতে পারে এই মহতি উদ্যোগের সাথে সমগ্র ময়মনসিংহ বাসী একাত্মতা ঘোষনা করেছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, রেল ওয়ে ডাটাবেজ গুলো সম্পুর্ন টেকনিক্যাল যা কারিকরি দিক থেকে, যা রেলওয়ের সাথে অভিন্ন।

(এনআর/এএস/জুলাই ২৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test