E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

২০২৩ আগস্ট ০২ ১৭:০৭:১৪
নওগাঁয় মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরের বরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ; একই ব্যক্তি প্রথমে ২টি এরপর আবারো ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকায় লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী মানিক হোসেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

লিখিত অভিযোগে প্রতিবন্ধি মানিক হোসেন বলেন, বরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় গত ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে দৈনিক ইনকিলাব ও আঞ্চলিক পত্রিকায় অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী উপজেলার রামগাঁ গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মানিক হোসেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে আবেদন করেন। এরপর তিনি সভাপতি ও সুপারের কাছে গেলে তারা ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সুপার আব্দুল মান্নান দুইজন মিলে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তারা স্বজনপ্রীতি করে সভাপতির চাচাতো ভাই এনামুল হক ও খায়রুন নেসাকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন।

গত ২১ জুলাই ২০২৩ তারিখের নিয়োগ পরীক্ষায় সভাপতি ও সুপারের দাবিকৃত ওই পরিমান টাকা দিতে না পারায় সভাপতির চাচাতো ভাই এনামুল হক ও আরেকজন খায়রুন নেসার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন। তবে তিনিও নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এছাড়াও আল মামুন নামে একজনের কাছ থেকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা নেয় মাদ্রাসার সুপার। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর আগে বাহাদুরপুর দাখিল মাদ্রাসা ও রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি এবং বর্তমানে গুজিশহর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একই ব্যক্তি এতগুলো প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়; বরিয়া মাদ্রাসায় একসাথে চারটি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও দুটি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। বাকি দুটি পদ স্থগিত করেছেন। এর কারন টাকার অংক কম হওয়ায় নিয়োগ দুটি বন্ধ করেছেন।

এ বিষয়ে বরিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, নিয়োগে কারো কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়নি। যে পরীক্ষা ভালো দিয়েছে আমরা তাকেই মূল্যায়ন করেছি। বিজ্ঞপ্তিতে ভুল থাকার কারনে বাকী দুটি পদে নিয়োগ দেয়া যায়নি। পরে সংশোধন করে নিয়োগ দেয়া হবে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিয়োগে কোন রকমের অনিয়ম হয়নি। স্বচ্ছতার মাধ্যমেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিবন্ধি মানিক হোসেন নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিল তিনি পরীক্ষার ফলাফল ভালো না করায় তাকে নেয়া যায়নি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসার নিয়োগে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে মানিক হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএস/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test