E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নগরকান্দায় মাদ্রাসা সুপারকে শোকজ

২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেন একজন

২০২৩ আগস্ট ২৫ ১৭:১১:১৯
২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেন একজন

নগরকান্দা প্রতিনিধি : এবার ৯ হাজার ২৯৪টি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ পাস করেছে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ কম। গতবার দাখিলে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। দাখিলে এবারের ফলাফল করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার চেয়েও বেশ খারাপ হয়েছে।

নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের বেতাল জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সুপার মোঃ মাহামুদুল হাসানকে শোকজ করা হয়েছে।

শোকজ করার কারণ গুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার অনিয়ম। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। স্বজন প্রীতি করাসহ একাধিক কারনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি তাকে শোকজ করেন। (১১ আগস্ট) থেকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন অত্র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ হায়াতুজ্জামান। জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। ২০২৩ সালে এস এসসি পরিক্ষায় নিয়মিত ২৬ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন পরীক্ষার্থী পাশ করে এবং অন্যান্য পরিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হওয়ায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে এস এসসি পরিক্ষায় জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ জন পরিক্ষার্থী পাশ করায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিভাবকরা অনেকেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এজন্য দায়ী করছেন। শিক্ষকদের পাঠদানে অনিহা, শিক্ষকদের অনিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসার কারনেই এমটি হয়েছে বলে ব্যক্ত করেন। ছাত্র-ছাত্রী কেন পাস করল না এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে পাওয়া যায়নি কোন সঠিক উত্তর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিন্ন চিত্র। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৭৯ জন। এবতেদায়ীতে ৬০ জন সহ মোট ২৩৯ জন ছাত্র- ছাত্রী রয়েছে। ছাত্র হাজিরা খাতায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ছাত্র - ছাত্রীদের নাম কাগজ কলমে থাকলেও উপস্থিত নেই। হাজিরা খাতায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ১ জন, ৭ম শ্রেণীতে ২ জন, ৮ ম শ্রেণীতে ১ জন, ৯ম শ্রেনী ৩ জন দশম শ্রেণীতে উপস্থিত নেই। শিক্ষকরা অলস সময় পার করছে। ছাত্র - ছাত্রী উপস্থিতি কম থাকার বিষয় ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ হায়াতুজ্জামান বলেন পাটের দিন পাট নিতে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিতি কম।

সুপার এর শোকজ করার বিষয় তিনি বলেন, নানা অনিয়মের অভিযোগ তাকে প্রথমে বহিষ্কার করে, পরে ম্যানেজিং কমিটি পুনরায় তাকে শোকজ করে। সুপার মোঃ মাহামুদুল হাসানকে প্রতিষ্ঠানে না পেলেও মুঠোফোনে তিনি বলেন আমি হাজিরা দিচ্ছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক বলেন, আমাকে বাদ রেখে নিউজ করেন এবিষয় আমাকে জড়াবেন না।কেন বক্তব্য দিবেননা বলতেই ফোন কেটে দেন।

(পিবি/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test