E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইউএনও অফিসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৬ ১৯:৩১:৫২
ইউএনও অফিসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ইউএনও অফিসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করলেও ভয়ে ইউএনও অফিসের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না কেউ। দুয়েকজন প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়ে থাকে।

জানা গেছে, টিআর, জিআর, কাবিখা, এডিপি,এলজিএসপি, ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা) ইত্যাদি প্রকল্পসহ সরকারি বরাদ্দে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কয়েকমাস মাস আগে কর্মসৃজন কর্মসূচীর টাকার কমিশন ভাগাভাগি নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ প্রকাশ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

কর্মসৃজন কর্মসূচীর টাকার নির্ধারিত কমিশন না পাওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়ম করা হয়েছে।

বিভিন্ন দিবস উদযাপনের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা উঠানো হয়। এটাকা উঠানোর কাজ করেন ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক কাওসার আলী ও ইউএনও অফিসের গাড়িচালক বাবলু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য ৪০ হাজার টাকার জন্য ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক কাওসার আলী আসেন। নির্ধারিত টাকা না দিলে ইউএনও স্যার ক্ষতি করতে পারেন এই ভয়ে তিনি ৪০ হাজার টাকায় কাওসারের হাতে তুলে দিয়েছি।

অভিযোগ রয়েছে, গ্রামবাসীর প্রবল আপত্তি থাকা সত্তে¡ও ইউএনও অফিস উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের ফসলী জমিতে পুকুর কেটে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী লাল মিয়াকে। এর জন্য ওই বালু ব্যবসায়ীকে ৪০ গাড়ি বালি দিতে হয়েছিল ইউএনও অফিসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিণাকণ্ডু উপজেলার একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমাদের পরিষদের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য নিয়মিত টাকা দিতে হয় ইউএনও অফিসে। তাছাড়া টিআর-কাবিখাসহ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১০শতাংশ কমিশন দিতে হয়। এডিপির টাকা ইউএনও অফিসের ইচ্ছামত ভাগ-বাঁটোয়ারা করা হয়ে থাকে। হয়রানি হওয়ার ভয়ে আমরা ইউএনও অফিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারি না।

এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা জানান, টিআর, জিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপি, ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা) এগুলিতো ইউএনও অফিসের কাজ না। আর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘর নির্মাণে সম্পূর্ন সরকারি খরচে করা হয়েছে। কারও কাছ থেকে কোন সুবিধা নেওয়া হয়নি। আর বালি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান,আমার অফিস সব সময় স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করে থাকে।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test