E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না পণ্য, বিপাকে যশোরের শিক্ষার্থীরা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৮:৫১:০২
সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না পণ্য, বিপাকে যশোরের শিক্ষার্থীরা

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড কাঁচা বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে না পারাতে একদিকে যেমন ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ বিক্রেতারা অন্যদিকে ভোক্তাদের মধ্যেও রয়েছে নানা প্রশ্ন। শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্যান্ড বাজারটি শিক্ষার্থীদের বাজার নামে পরিচিত। এই কাঁচা বাজারটির বেশির ভাগ ভোক্তা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। মেস, হোস্টেল বা একক ভাবে বাসা নিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা এখান থেকে সুলভ মূল্যে ও টাটকা তরকারি ক্রয় করে থাকেন। এছাড়া সাধারণ ভোক্তারা এই বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে আসছেন। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য কিনতে না পারাতে ভোক্তা সাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন মেস, হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা তরকারির দাম একটু কমলেও সরকার দাম নির্ধারিত আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমেনি। আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টা কেজি দরে। যেটি সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩৬ টাকা কেজি। এদিকে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দর নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা করে। তবে ডিমের দাম নির্ধারিত মূল্য ১২ টাকা প্রতিপিচ বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রসুন ২২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য কিনতে না পারাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তা ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

যশোর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী লাবন্য বিশ্বাস বলেন, শুনেছি সরকার আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছে। তবে কিনতে গিয়ে দেখছি পূর্বের দামে বিক্রি করছে। বাজারে মাঝে মাঝে ডিম পাওয়া যায় না। এই বাজার কলেজের পাশে হওয়াতে সহজে এখান থেকে কেনা কাটা করা যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াতে মেসে খাবারের কষ্ট হচ্ছে।

সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। নিয়মিত হোস্টেলে রান্না হচ্ছে না। বাজার খরচ বেশি হচ্ছে। বাজার তদারকি করা দরকার।

শহরের পুরাতন কসবার আরিফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে। মাঝখানে ভুক্ত ভোগী হচ্ছে সাধারণ ভোক্তা ও বিক্রেতারা।

চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল গফুর বলেন, আমরা বেশি দামে কিনছি বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। বড় বড় রাঘব বোয়ালরা আলু মজুদ করে রাখছে। তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে। আমরা ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা জরিমানা গুনছি। ভোক্তাদের নানা প্রশ্নের শিকার হচ্ছি। রাঘব বোয়াল ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

(এসএ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test