E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাভার ও আশুলিয়ার সব কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু

২০২৩ নভেম্বর ১৪ ১৫:৪১:৪৩
সাভার ও আশুলিয়ার সব কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু

তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়ার সংকট কাটিয়ে সব কারখানায় উৎপাদন শুরু করেছে শ্রমিকরা। সকালে একটি কারখানা ছাড়া সব কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, বাইপাইল, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব কারখানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা দুই সপ্তাহ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করলে থমথমে হয়ে যায় শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিস্থিতি। এক কারখানার শ্রমিক আরেক কারখানায় গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১১ নভেম্বর ১৩০ কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। তবে বন্ধ ঘোষণার পরের দিনই খুলে দেওয়া হয় ৭০ কারখানা। দ্বিতীয় দিন খুলে দেওয়া হয় ৭৫টি কারখানা। আর আজ একটি কারখানা ছাড়া সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।

আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ডুকাটি অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা জানায়, তাদের কারখানায় কোনো আন্দোলন ছিল না। তবে শেষের দিকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বসে ছিল। তাদের কারখানায় বহিরাগতরা হামলা করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু আজকে কারখানা খুলে দিলে শ্রমিকরা উৎপাদন শুরু করেছেন।

শিমুলতলা এলাকার এক গার্মেন্টসের উৎপাদন কর্মকর্তা বলেন, আজ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা। আজকের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সংকট কেটে গেছে। শ্রমিকরা সকালে কারখানায় প্রবেশ করে উৎপাদন শুরু করেছেন। শিল্পাঞ্চলে কাজের পরিবেশ ফিরে এসেছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গত ১১ নভেম্বর নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০টি কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। যা ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১২ নভেম্বর ৭০ কারখানা ও ১৩ নভেম্বর ৭৫টি এবং সর্বশেষ আজ ১২৯টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। নাবা নীট নামের একটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। সেটিও দ্রুত খুলে দেবেন বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ কাজ বন্ধ করে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। চলমান অসন্তোষের মধ্যেই সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা দেন মজুরি বোর্ড। এই সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন প্রত্যাখান করে আবারও আন্দোলনে যায় শ্রমিকরা। এই আন্দোলনের মুখে শিল্পাঞ্চলের ১৩০ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আজ সকল কারখানা খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।

(টিজি/এসপি/নভেম্বর ১৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test