E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পিএসসি’র সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

২০২৩ নভেম্বর ২৩ ১৪:০৮:০৩
পিএসসি’র সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

কাজী দেলোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার : পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)’র সহকারি পরিচালক মো: মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দার মো: লুৎফর রহমান বাদী হয়ে গত সোমবার এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে মারপিট করে সাধারণ জখম করাসহ চাঁদাদাবি, চুরি ও ভয়ভীতির হুমকি প্রদানের অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মাহবুবুর রহমান (৫৮)সহ তার ৭/৮ জন সহযোগী সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যু প্রকৃতির লোক। তার একটি ক্যাডার বাহিনী আছে। সাভার মডেল থানাধীন মোগড়াকান্দার পাচুলী মৌজায় কবির হোসেন ক্রয় সূত্রে ৬.২৫ শতাংশ জমির মালিক। বাদী মোঃ লুৎফর রহমান ওই জমির কেয়ারটেকার।

গত ২৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই জমিতে বালু ভরাটের কাজ শুরু করলে, বিবাদী মাহবুবুর রহমানসহ সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন দেশীয় মারাত্নক অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে ওই সম্পত্তির মধ্যে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে। বালু ভরাট করতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদীরা লাঠি দ্বারা বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে। বাদীর চিৎকারে তার চাচাতো ভাই জুলহাস (৪৫) ও ভাগিনা শাহাদাৎ (২৮) এগিয়ে যায়। তারা বাদীকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাদেরকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জখম করে।

একপর্যায়ে তারা বাদীকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। পরে বাদী ও তার দুই ভাই সেখানে উপস্থিত লোকজনদের সহায়তায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কময়েক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার দিন জমির মালিক কবির স্যারের সাথে বালু ফেলা নিয়ে চাদা দাবীর জেরে অভিযুক্ত মাহবুব বাকবিতন্ডায় জড়ায়। মাহবুব তার বাহিনী নিয়ে কবির স্যারের উপর হামলা করতে গেলে আমি তাদের বাধা দেই। এসময় তারা আমাকে মারধর করতে থাকে। পরে আমার চাচাতো ভাই ও ভাগীনা আমাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সাভার মডেল এ বিষয়ে ঘটনার দিনই একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১৫ দিন হঠাৎ জানতে পারি অভিযুক্ত উলটো আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে। পরে আমি আদালত থেকে জামিন নিয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। লুৎফর রহমান আরও বলেন, এই মাহবুব তার চাকরির প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। কেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে তার বাহিনীর দ্বারা আক্রমণ ও মিথ্যে মামলার শিকার হতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করননি। পরে তার মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি।

এ ব্যপারে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান বলেন, এঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মারামারির ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এতে দুই পক্ষেরই কাউন্টার মামলা করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(কেডিএইচ/এএস/নভেম্বর ২৩, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test