E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরদীতে পেঁয়াজের দাম ও চাহিদা দুটোই কমেছে

২০২৩ ডিসেম্বর ১৩ ১৭:০৬:৩৩
ঈশ্বরদীতে পেঁয়াজের দাম ও চাহিদা দুটোই কমেছে

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার সাথে সাথে চাহিদাও কমে গেছে বলে জানিয়েছেন আড়তের পাইকারি ব্যবসায়ী আজাদ। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম যখন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। যার এক কেজি প্রয়োজন ছিল, সে কিনেছে পাঁচ কেজি। আশংকা ছিল আরও হয়ত বাড়বে। এখন দাম কমেছে, কিন্তু কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা বেশী হওয়ায় হাট থেকে আমরা কিনেছিও বেশী পরিমাণে। এখন লোক নেই। মুড়িকাটা এ পেঁয়াজ বেশদিন ধরে রাখা যায় না।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদীর খুচরা বাজারে ৯০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। আড়তের পাইকারি বাজারে দাম ছিল ৮০ টাকা কেজি। আড়তদাররা জানান, পদ্মার চরে আবাদকৃত বিপুল পরিমাণে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আমদানি হয়েছে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা তড়িঘরি করে পেঁয়াজ পোক্ত বা পূর্ণাংগ হওয়ার আগেই জমি হতে উঠিয়ে হাটে নিয়ে আসছেন। কৃষকরা ২,৮০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকা মণ দরে অর্থাৎ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। হাটে এখন বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। তাছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজ যেহেতু পচে যায়, বেশিদিন রাখা যায় না। পেঁয়াজের দাম কমার এটিও একটি কারণ।

পাইকারি ব্যবসায়ী বশির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। একশত টাকা কেজির ওপরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু আমাদের কেনা ছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। অভিযানের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে দাম আরও কমে গেছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বলেন, অতি মুনাফার লোভে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা তাদের মনিটরিং করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test