E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকা

চেক পোস্ট বসিয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

২০২৪ জানুয়ারি ১৩ ১৬:৩৫:২১
চেক পোস্ট বসিয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাংবাদিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মহাসড়ক চলছে নিষিদ্ধ সিএনজি। আঞ্চলিক সড়কেও চলছে বিভিন্ন নিষিদ্ধ যান। সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ না মেনেই দিনে ও রাতে অবাধে মহাসড়কে চলছে এই সিএনজি। হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগার উপর দিয়ে এসব যান চলাচল করলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে অবাদে সিএনজি চলতে দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এমন অভিযোগ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের যাতায়াতকারী চালক ও সাধারণ যাত্রীদের। নিষেধাজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন দেদারছে চলছে মহাসড়কে এসব অবৈধ যান। পুলিশের সাথে মাসোহারা ও কিছু সাংবাদিকদের নাম বিক্রি করে কিছু ড্রাইভার এসব অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছেন বলেও জানা যায়।

সিএনজি চালক সুমন, শরিফ, রাজিব, কামাল বলেন, মহাসড়কটিতে তারা দিনে ও রাতে অবাধেই সিএনজি চালাচ্ছেন। সাংবাদিক ও পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে সিএনজি। কোথাও কোন পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তাদেরকে বাধা দেয় না। কখনো আটক হলে ১৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা দিলেই তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে তারা আরো জানান, সিএনজি চলাচল নিয়ে নরসিংদীর-ঢাকা মহাসড়কে কিছুদিন পূর্বে পুলিশের সঙ্গে হট্টগোল করে বিক্ষোভ মিছিল করে সিএনজি চালকরা।

তথ্যমতে, ২০১৬ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার পর ঢাকা সিলেট মহাসড়কে সিএনজি চলাচল কিছু দিন বন্ধ থাকলেও আবারো অবাধে চলছে এই নিষিদ্ধ যান। অপরদিকে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কে বন্ধই হয়নি নিষিদ্ধ যান চলাচল।

সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়কে পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকার সাথে নরসিংদী জেলার মাহমুদাবাদ এলাকার সংযোগ ব্রহ্মপুত্র সেতুর মাহমুদাবাদ চেকপোষ্টের সামনে দিয়ে অবাধে চলছে সিএনজি। পুলিশ আটক করলে দিচ্ছে নানান অযুহাত। আবার বলছে কিছু সাংবাদিক ও বিশেষ ব্যক্তিদের নামও। কেউ বলছে রোগী নিয়ে এসেছি কেউ বলছে ভৈরবে সিনজি পাম্পে সিএনজি নিতে এসেছেন। গাড়িগুলো এমন বিনা বাধাঁয় চলা চল করছে দেখলে মনে হয় না গাড়িগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা বাঁধা দেবার কেউ রয়েছে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের চেক পোস্টের সামনে দিয়েই ২০ মিনিট সময়ে অন্তত ১০-১৫টি সিএনজিসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ যান নির্বিঘেœ চলতে দেখা যায়। বেশির ভাগ সিএনজি অটোরিকশার কোনো নাম্বার প্লেট নেই।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, গোপন আঁতাত করেই মহাসড়কে নিষিদ্ধ সিএনজিগুলো চলাচল করছে। যার ফলে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব তদারকির জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ কখনই তা করেন না বলে দাবি স্থানীয়দের।

এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের এস আই শফর আলী বলেন, মহাসড়কে সিএনজি চলছে, তবে এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুটা উচ্চবাচ্চ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. সাজু মিঞা বলেন, নংসিংদীর ইটাখলা, ভৈরব ও বাজিতপুরের পিরিজপুর পর্যন্ত আমাদের সীমানা। আঞ্চলিক সড়কে সকল ধরণের যান চলাচল করলেও মহাসড়কে কোন প্রকার সিএজি, অটোরিকসা চলতে দেয়া হয় না। যদিও চলতে দেখা যায় আমরা গাড়ি আটক করে মামলা দিয়ে থাকি। অবৈধ পরিবহন চলাচলে যদি প্রশাসনের কোন লোক সহযোগীতা করে থাকে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। আমি সদ্য যোগদান করেছি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএস/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test