E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোপালগঞ্জে কাঁচা রাস্তায় কৃষি পণ্য পরিবহনে হাজারো কৃষকের দুর্ভোগ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৫:৪৫:১৩
গোপালগঞ্জে কাঁচা রাস্তায় কৃষি পণ্য পরিবহনে হাজারো কৃষকের দুর্ভোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : মাত্র ১ কিলো মিটার মাটির রাস্তা । এই বাস্তা দিয়ে হাজারো কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য পরিবহন করেন। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দের। বৃষ্টি হলে এটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। তখন কয়েক হাজার কৃষকের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেহাল এই রাস্তা দিয়ে উৎপাদিত কৃষি পন্য  পরিবহনে তাদের দ্বিগুন খরচ গুনতে হয়। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে লোকসানও হয় কৃষকের।

এমন আবস্থা বিরাজ করছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইটভাটা থেকে রেল লাইন পর্যন্ত পায়ে হাটা মেঠ পথের।

রাতইল গ্রামের কৃষক রমজান মোল্লা বলেন, পায়ে হাটা রাস্তা দীর্ঘ বছর ধরে অবহেলিত। রাস্তাটি দিয়ে আমরা কয়েক হাজার কৃষক আমাদের ২ হাজার বিঘা জমিতে উৎপাদিত সরিষা, মসুর, খেসারী, বোরো ধান সহ বিভিন্ন রবি শস্য ভ্যান-নছিমন ও ঘোড়া-গরুর গাড়িতে পরিবহন করি। কিন্তু রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অসমতল রাস্তায় পন্য পরিবহনে দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টি হলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় । কাঁদা মাড়িয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়।

রাতইল গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘কৃষি পণ্য পরিবহনে রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপর্ণ । রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা হলে আমরা জমির ফসল বিভিন্ন যানবাহনে করে সহজে ঘরে তুলতে পারতাম।’

একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে ফসল ঘরে তুলতে পারি। কিন্তু বৃষ্টি হলে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়। এতে আমাদের উৎপাদিত ফসলের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। ফলে অনেক সময় আমাদের লোকসান হয়। রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা হলে সহজেই যানবাহনে করে ফসল ঘরে তুলতে পারবো। তাই রাস্তাটি দ্রæত পাকা করার দাবি জানাচ্ছি।’

ইউপি সদস্য মো. জুয়েল সরদার বলেন, ‘রাস্তা খারাপ থাকার কারণে জমির ফসল পরিবহন করতে কৃষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফসল উৎপাদনে অনেক লোকসানও হয়। রাস্তাটি দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ নিতে এমপি মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাটির কাজ হওয়া খুবই জরুরি। এত বড় রাস্তার কাজ করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে রাস্তার কাজের স্কিম উপজেলা এলজিইডি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে দেওয়া হয়েছে।‘

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এমপি মহোদয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দিলে রাস্তাটি আমরা করে দিতে পারবো।’

(এমএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test