E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিখোঁজের ৭ দিন পর ডোবায় মিললো যুবকের মরদেহ

২০২৪ মার্চ ১৯ ১৮:১৬:৩৯
নিখোঁজের ৭ দিন পর ডোবায় মিললো যুবকের মরদেহ

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে নিখোঁজ ৭ দিন পর ডুবায় পাওয়া গেল আল-আমিন (২৭) নামে যুবকের লাশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পৌর শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। নিহত আল আমিন শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। এতথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।  

স্থানীয়রা ও স্বজনরা জানান, নিহত যুবক আল-আমিন একজন পাদুকা শ্রমিক ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজকর্ম করতেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। ১২ মার্চ মঙ্গলবার সকালের পর থেকে আল আমিন নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজিতে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা ডোবায় কুচুরিপনার ভিতরে একজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশ পাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে নিহতের পরিবার গিয়ে লাশ সনাক্ত করে।

এদিকে নিহতের পরিবারের দাবী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে আল আমিনকে। এ বিষয়ে নিহতের বড় বোন মুন্নি জানান, আল আমিন একটি পাদুকা কারখানায় কাজ করতেন। প্রথম রোজায় কারখানা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে আল আমিনের সন্ধানের জন্য থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করতে গেলে থানার ওসি ও এসআই নাজমুল আমাদের লিখিত অভিযোগ নেয়নি। বরং তারা আমাদের গালাগালি করে বের করে দিয়েছে।

নিহতের ভাই রাকিব অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় রনি নামের এক যুবকের সাথে দীর্ঘদিন যাবত আল আমিনের দ্বন্দ্ব চলছিল। রনি তাদের ভাইকে ষড়যন্ত্র করে জেলও খাটিয়েছে। তাই রনিকে সন্দেহ করছে তার পরিবার।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ বলেন, কয়েকদিন আগে নিহতের পরিবার আমার কাছে এসে জানিয়েছে আল আমিনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তাদের থানায় যোগাযোগ করতে বলি। আজ মঙ্গলবার স্টেডিয়াম পাড়ায় লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আমি তার পরিবারকে খবর দেয়। তারা গিয়ে লাশ সনাক্ত করে।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের অভিযোগ থানায় রাখেনি এমন কিছু আমার জানা নেয়। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশের শরীর থেতলে গেছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে মৃত্যুর কারণ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(এসএস/এসপি/মার্চ ১৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test