E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে কেজিতে তরমুজ বিক্রি কবুল করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর 

২০২৪ মার্চ ১৯ ১৮:৫৪:১৮
টাঙ্গাইলে কেজিতে তরমুজ বিক্রি কবুল করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর 

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : পুষ্টিগুন ও রসালো হওয়ায় রমজান মাসে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠে তরমুজ। আর সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী তরমুজ নিয়ে মেতে উঠেন দাম বাড়ানো খেলায়। অতি লাভের আশায় বিভিন্ন কলাকৌশলে অপরিপক্ক তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসেন বাজারের অলিগলিতে। খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে পাইকারি বিক্রেতাগণ হাতিয়ে নেয় অধিক মুনাফা। খুচরা তরমুজ ব্যবসায়ীরা সকালে পাইকারি দোকান হতে বাকিতে মাল কিনে আনেন আর সারাদিন বিক্রি শেষে রাতে পরিশোধ করেন পাওনা টাকা। আর এ সুযোগে পিস হিসেবে কেনা তরমুজ খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে অধিক লাভ ও তরমুজ বাজারকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে একদল অসাধু পাইকারি তরমুজ ব্যবসায়ীরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ৭০ টাকায়। অথচ তারা পাইকারি বাজার হতে কিনছেন প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকায়।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের বৃহৃত পার্ক বাজার, ৬ আনি বাজার, বেবীস্ট্যান্ড বাজার, নতুন বাসস্ট্যান্ড ফলের বাজার ও জেলা সদর রোডে অস্থায়ী তরমুজ বাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

পার্কের বাজারে তরমুজ কিনতে আসা গৃহিণী আয়শা রহমান বলেন, 'কেজি দরে তরমুজ বিক্রি প্রথম শুনলাম। ছোট বেলা থেকে জেনে আসছি যে তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। ছোট তরমুজ অপরিপক্ক হতে পারে বিধায় বড় তরমুজ কিনতে চাই। একটি বড় তরমুজ ১০-১২ কেজি। প্রতি কেজি ৮০ টাকা দাম চাচ্ছে দোকানী। এতো টাকা বাজেট নেই, তাই আর কেনা হলো না। রোজার আগে যে তরমুজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি ছিল, সেই তরমুজ রমজানে ৮০ টাকা কেজি। এটা দুঃখজনক।’

অপর তরমুজ নবীন বলেন, ‘বাসার সবাই রোজায় আছে। ইফতারের জন্য ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনলাম। তরমুজ এখনও পরিপক্ক না। তবুও কিনলাম।’ তিন কেজি ওজনের একটা তরমুজ তিনি ২৪০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

ছয় আনি বাজারে আঃ আলীম বলেন, ‘৮০ টাকা কেজি দরে ২০০ টাকা দিয়ে একটা তরমুজ কিনেছিলাম। বাসায় এনে ইফতারের আগে কেটে দেখি অপরিপক্ক। তরমুজের ভিতরে সাদা। স্বাদও ভালো না। বাজারে অপরিপক্ক তরমুজ বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমার মতো অনেকে প্রতারিত হচ্ছে।’

পার্ক বাজারের একাধিক পাইকারি তরমুজ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা পটুয়াখালী থেকে তরমুজ কিনে আনি। সরাসরি কৃষকের জমি থেকে পিস হিসেবে। আবার কোন কোন কৃষকের তরমুজের চাষের জমি আনুমানিক হিসেব করি কিনে থাকি। বাজার পর্যন্ত গাড়ীভাড়া,লেবার ও অন্যান্য খরচ প্রতিপিস তরমুজ প্রায় ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত পরে। এতে করে পিস হিসেবে বিক্রি করে আমাদের তেমন একটা লাভ হয় না। কেজি দরে বিক্রিতে আমরা কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারি।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, বিক্রেতা কেজি দরে কিনেছেন কেজি দরেই বিক্রি করবেন - এটাই নিয়ম। তবে অন্যায়ভাবে যদি কেউ পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করে তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

(এসএম/এসপি/মার্চ ১৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test