E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জীবিতকে ‘মৃত’ দেখানোয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

২০২৪ মার্চ ২৯ ১৪:৫৪:৫১
জীবিতকে ‘মৃত’ দেখানোয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ তুলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন ও নারী সদস্য আসমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আয়না বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাশিয়ানী আমলী আদালত মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই গ্রামের আব্দুল রউফ মোল্যার স্ত্রী।

বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিষয়টি বাদী পক্ষের আইনজিবি আব্দুল্লাহ আশিক জামান উপল নিশ্চিত করেছেন। ওই আইনজীবি বলেন, আদালত থেকে এখনো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে পাঠানো হয়নি।অফিস খুললে আদালত থেকে আদেশের কপি পিবিআ ‘র কাছে পাঠানো হবে বলে আদালত সূত্রে জানতে পেরেছি ।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, বাদী আয়না বেগম ২০১৭ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা ভোগ তরে আসছেন । কিন্তু তিনিগত ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। প্রত্যয়নপত্রে সনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আসমা বেগম। অথচ আয়না বেগম এখনও জীবিত আছেন। এতে আয়না বেগমের নামের বয়স্ক ভাতার কার্ডটি বাতিল হয়ে যায়। দীর্ঘদিন আয়না বেগমের মুঠোফোনে ভাতার টাকানা আসায় তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় গিয়ে খোঁজ খবর নেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিনি ‘মৃত্যুবরণ’করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের কাছে গেলে কোন সমাধান দেয়নি। উল্টো অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং হুমকি-ধামকিদেন বলে অভিযোগ বাদী আয়না বেগমের। পরে তিনি বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

ভূক্তভোগী আয়না বেগম বলেন, ‘আমি জীবিত থাকারপরও চেয়ারম্যান ও নারীইউপি সদস্য আমাকে মৃত দেখিয়ে আমার বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করে দিয়েছে। আমি শয্যাশায়ী স্বামীকে নিয়ে অন্যের জায়গায় থাকি। এ ভাতার টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এর বিচার চাই।’

ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন প্রত্যয়ন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘যখন লাইফ ভেরিভিকেশন হয়েছে, তখন ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা সনাক্ত করলে, তিনি‘মৃত্যুবরণ’করেছেন বলে মর্মে আমি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি। তবে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে বলে ইউপি চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন।’

কাশিয়ানী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ বজলুল রশিদ বলেন, ‘চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। এখানে আমাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।’

(এমএস/এএস/মার্চ ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test