নারায়ণগঞ্জে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ ৫ জন গুলিবিদ্ধ

আড়াইহাজার ( নারায়ণগঞ্জ ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধ ও নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষে লিয়াকত, সামসু, রব মিয়া, মোতাহার, রহিমা নামের ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে মোতাহার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও গুলিবিদ্ধ অন্যদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে ২০ টি বসত ঘর ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট করা হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর ) সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মেঘনা নদী বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বকান্দি গ্রামের দক্ষ্মিণপাড়ায় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আম্বর আলী প্রধান এর ছেলে সামছুল হকের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা মিয়ার সোমবার সকালে বাকবিতন্ডা ঘটে।

এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয় পক্ষ্মের লোকজন লাঠিসোটা, দা, বললম সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অন্যর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু হয় দুই পক্ষ্মের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। পরে উভয় পক্ষ্মের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে লিয়াকত, সামসু, রব মিয়া, মোতাহার, রহিমা নামের ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যাদের মধ্যে মোতাহার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও গুলিবিদ্ধ অন্যদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উভয়পক্ষ্মের আহত আম্বর আলী প্রধান, মোতালিব, মেকু, সামছু, ফয়জুল, সৈকত, রফিকসহ আরো ১৫জনকে স্থানীয়ভাবে ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের সময়ে উভয় পক্ষ্মের ২০টি বসত ঘর ভাঙচুর ও ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়।

আড়াইহাজার থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে।

(আইএ/এইচআর/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪)