E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাবা ও বোনকে হারালেও বেঁচে ফিরেছে শিশু নীহা

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৬:৪৭:১৯
বাবা ও বোনকে হারালেও বেঁচে ফিরেছে শিশু নীহা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : পদ্মায় লঞ্চ ডুবিতে মারা গেছেন বাবা নাসির ও বড় বোন নাঈমা (৬)। তবে এ যাত্রায় বেঁচে গেছে আড়াই বছরের ছোট শিশু নীহা। বাবা ও বোনের সঙ্গে ডুবে যাওয়া লঞ্চে ছিল নীহা। লঞ্চ ডুবির পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।

কুষ্টিয়ার শহরের মিলপাড়া এলাকায় নাসিরের বাড়ী । দুই মেয়ে নীহা, নাঈমা আর স্ত্রী সীমাকে নিয়ে তার সংসার। নাসির ও তার স্ত্রী সীমা গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাদে ঢাকা থাকতেন। আর তার দুই মেয়ে নীহা ও নাঈমা কুষ্টিয়ায় দাদা-দাদীর সাথে থাকতো। কয়েকদিন আগে মায়ের সাথে দেখা করানোর জন্য দুই মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যায় নাসির। সেখানে থাকার পর নীহা ও নাঈমা বাবা নাসিরের সঙ্গে কুষ্টিয়ার বাসায় ফিরছিল। কিন্তু নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় নীহা। সে বেঁচে গেলেও নাসির উদ্দিন ও নাঈমার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর নাসির উদ্দিনের ও নায়মার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নীহার দাদি মরিয়ম ও তার দাদা বলেন, ‘নীহার বাবা-মা ঢাকায় থাকতো। আর তারা দুই বোন নীহা ও নাঈমা আমাদের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় থাকতো। বাবা মার থেকে দাদা-দাদীকেই বেশী পছন্দ করতো তারা। মায়ের সাথে দেখা করানোর জন্য নাসির কয়েক দিন আগে নীহা ও নাঈমাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
রবিবার দুপুরে এপারে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনে বাচ্চা দুটিকে মায়ের কাছে রেখে আবারো ঢাকায় ফেরার কথা ছিল নাসিরের। যে লঞ্চটিতে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিল সেটি দুর্ঘটনায় পড়ার সংবাদ শুনে নীহার দাদী মরিয়ম আক্তার খোঁজ খবর নেন। পরে জানতে পারেন লঞ্চডুবির ঘটনা। প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান জানতে পারেন শিশু নীহা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রয়েছে। এরপর তারা হাসপাতাল থেকে নীহাকে নিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় নীহাকে জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে দেয়া হয়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। নীহার দাদী জানান, আল্লাহ আমার নাতনীকে বাঁচিয়েছে।
(কেকে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৪,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test