E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রশাসনের নির্দেশের পরেও ভূমি দখল!

২০১৫ এপ্রিল ২০ ১৭:৩৮:১৯
প্রশাসনের নির্দেশের পরেও ভূমি দখল!

নাটোর প্রতিনিধি : অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নোটিশ জারির পরও ভূমি দস্যুরা নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীর দুই তীর দখল করে চলেছে। প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নদী তীরের সরকারি খাস জমি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মান করছে। এতে বারনই নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে স্থাপনা অপসারণের নোটিশ দিলেও আমলে নিচ্ছেনা ভূমি দস্যুরা।

পানি উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নলডাঙ্গা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত বারনই নদীর দুই তীর ভুমি দস্যুরা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মান করে চলেছে। নলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ও পাটুল ঘাট এলাকায় বারনই নদীর তীর ঘেঁষে সরকারি জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে আরসিসি পিলারের পাকা স্থাপনা। এসব পাকা স্থাপনা নির্মান করায় নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হওয়া সহ অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি দস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশকেও তোয়াক্কা করছে না তারা।
নদী তীরবর্তী পাটুল গ্রামের আকতার হোসেন জানান, জয়েন উদ্দিন মন্ডল নামে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ভুয়া কাগজ তৈরী করে নদী সংলগ্ন রাস্তা ঘেঁষে নদীর জায়গা দখল করে আরসিসি পিলার দিয়ে ঘর নির্মান করছেন।। ইতিপুর্বে তিনি পাটুল হাটের কিছু জমি নিজের বলে দাবী করে দখলের চেষ্টা করেন। বিপুল অর্থের মালিক ও প্রভাবশালী হওয়ায় স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধে প্রশাসনের নির্দেশ সত্বেও স্থাপনা নির্মান কাজ করছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য জীবন আলী দখলদারদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন,এ বিষয়ে আইন সর্ম্পকে তিনি জানেন না। তবে শিশুকাল থেকে শুনে এসেছেন, যেখানে পাকা স্থাপনা করা হচ্ছে সেটি নদীর জায়গা।
তবে জমির দাবীদার জয়েন উদ্দিন জানান,নকসা অনুযায়ী তার ক্রয় করা জমি ভূমি অফিস থেকে খারিজ ও খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। ভাঙ্গনে জমিগুলি একসময় নদীগর্ভে চলে যায়। বর্তমানে তার ক্রয় করা জমিতেই ঘর তুলছেন। তিনি কোন সরকারি জমি দখল করেননি।
নাটোর পানি উন্নয়ন বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী বাবুল আকতার অবৈধ দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারমিন আক্তার জাহান জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নোটিশ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে যারা স্থাপনা নির্মান করছে তাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
(এমআর/পিবি/ এপ্রিল ২০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test