E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চলনবিলে গণডাকাতি শুরু , জনজীবনে আতংক

২০১৫ মে ২৭ ১৩:২৪:৩০
চলনবিলে গণডাকাতি শুরু , জনজীবনে আতংক

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :  চলনবিলে বিখ্যাত হেদার কালে ৪ দফা ডাকাতির ঘটনায় তাড়াশ ও সিংড়া উপজেলার সীমন্তিবর্তী গ্রাম সমূহের মানুষ ডাকাত আতংকে নিদ্রাহীন রাত কাটছে এবং প্রতিটি গ্রামে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছে প্রত্যন্ত এসব গ্রামের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে যানাযায়, তাড়াশ উপজেলা সদর থেকে ৮কিলোমিটার পশ্চিমে হেদারখাল নামক স্থানে প্রথম গণডাকাতির ঘটনা ঘটে ৮মে। ডাকাতরা ধান কাটা শ্রমিকদের ৪টি ট্রাক, ধান ক্রয় করার ৩টি ট্রাক, ২টি সিএনজি ও ২টি মটর সাইকেল আরোহীদের নিকট থেকে নগদ টাকা, মহিলাদের নিকট থেকে সোনার গহনা ও মোবাইল ফোনসহ আড়াই লাখ টাকা ডাকাতি করে নেয়। এ সময় ডাকাতদের মারপিটে ধান কাটা শ্রমিক, ট্রাক চালক ও সিএনজি- মটর সাইকেল আরোহীসহ কমবেশী ২৫জনকে আহত করে। এর পরের রাতে ডাকাতরা দিঘুরিয়া গ্রামের মকবুলের বাড়িতে হানাদেয়, কিন্তু গ্রামবাসির প্রতিরোধে ডাকাতরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ ২ রাতের ঘটনায় বিচ্ছন্ন এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পরেছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানাযায়, দিঘুরিয়া, লাঙ্গলমুড়া, মনোহরপুর, সান্দ্রা, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, ধাপতেতুলিয়া, ভটুয়া, পোয়াতি এবং সিংড়া উপজেলার পুর্ব সীমান্তের চলনবিলস্থ্য সরিষাবাড়ি, গাড়াবাড়ি, ঠেঙ্গাপাকুরিয়া, কাউয়াটিকরী, বেড়াবাড়ি, কদমকুড়ি, আয়েশ, পাচপাকিয়া, বাশবাড়িয়া, বিয়াস, পাঁরলী, সোনাপাতিল, শালমারা, ছাতুয়া এবং খোলাবাড়িয়ার মানুষ রাতভর ঘুম হারাম করে পাহাড়া দিচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতে আবারও হেদারখালে ট্রাক আটকিয়ে চালককে মারপিট করে ৩২হাজার টাকা সোনার চেন ও মোবাইল ফোন ডাকাতি করে নেয়। এ রাতেই ডাকাতরা চৌবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণ মাঠে বটগাড়িতে আস্তানা নিলে গ্রামবাসি নজরে পরে। তারা বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ঘটনা জানিয়ে দিলে লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের লোকজন গ্রামের উত্তরে সমবেত হয়ে রাত আড়াইটা পর্যন্ত পাহাড়া দেয়। একই অবস্থায় ধাপতেতুলিয়া গ্রামের পশ্চিম মাঠে ডাকাতদের আনাগনা গ্রামবাসি টের পেলে মসজিদের মাইকে প্রচার করলে সবাই বাড়ির বাহিরে বের হয়ে আসে।

ডাকাত আতংক ব্যাপক হওয়ায় চলনবিলে এ ২থানার মানুষ রাতের ঘুম হারাম করেছে। এছাড়াও কৃষকরা আতংকিত যে ডাকাতদের উৎপাত অব্যহত থাকলে বাহিরের ধান ক্রয়ের পাইকারদের আগমন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে মানুষের দুর্দশা আরও বৃদ্ধি পাবে। এব্যপারে বারুহাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তার সাথে যোগাযোগ করলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়। তিনি নিজেও গ্রামবাসির মত ডাকাত আতংকে রাত কাটাচ্ছেন।
(এমএইচ/পিবি/মে ২৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test