E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

২০১৫ জুলাই ০৭ ১৭:৩৪:১৭
বাগেরহাটে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

আহসানুল করিম,বাগেরহাট :ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন। বাগেরহাট শহরের র্মাকেট গুলোতে তাই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। পছন্দের পোশাক কিনতে বিপনিবিতান গুলোতে তাই নারী-পুরুষ শিশু সকলেই এখন কেনাকাটায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন।

আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে সাধারন মানুষ কেনাকাটা করছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাকের চড়া দাম হওয়ায় কম আয়ের মানুষেরা তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন না। তার পরও সন্তানদের জন্য সাধ্যমত কেনাকাটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে এবার ঈদের কেনাকাটায় প্রথমদিকে দোকানীরা হতাশ হলেও রমজানের শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দোকানীরা। তবে একদরের তকমা লাগিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে দোকানিরা অধিক মুনাফা আদায় করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক ক্রেতা। এদিকে নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যানযট নিরসন, ছিনতাই রোধ ও নিরাপত্তার জন্য মোড়ে মোড়ে কাজ করে যাচ্ছে আইনসৃঙ্খলা বাহিণীর সদস্য ও পৌর কর্মচারীরা।

বাগেরহাটে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সকাল হতে বেলা ৪ টা পর্যন্ত এবং ইফতারের পর হতে গভীর রাত পর্যন্ত সময়টাকে মানুষ বেশি বেছে নিয়েছে ঈদ কেনাকাটায়। বিশেষ করে যুবক যুবতীদের পদচারনায় বেশি মুখর থাকে মার্কেটগুলো। তবে শিশুরাও কম পিছিয়ে নেই, ঈদ আনন্দ যেন শিশুদেরই জন্য। শিশুদের চাহিদা কোন কমতি নাই। কারো ২ সেট পোশাক আবার কারো ৩,তার সাথে মেচিং করে বাহারী সব অলংকার সব মিলিয়ে ঈদ এখন থেকেইে শুরু হয়ে গেছে শিশুদের মনে। তবে এবার ঈদে জামা কাপড়ের দাম বেশি বলে ক্রেতাদের অভিযোগ থাকলেও দোকানিরা বলছেন, দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের ভিতরেই আছে।

বাগেরহাট শহরের বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ি, থ্রি-পিচ, পাঞ্জাবিসহ ছোটদের নানান ধরনের পোশাক এসেছে। দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে ভারতীয় পোশাকের বিপুল সমাহার। নানা নামের এ সব পোশাক কিনতে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরাই বেশি আগ্রহী। দোকানিরা তাদের শো-রুমগুলো সাজিয়েছেন বিভিন্ন জনপ্রিয় মুভি ও সিরিয়ালের নাম অনুসারে দেশী-বিদেশী পোশাকে। এর মধ্যে নজর কেড়েছে ভারতীয় পোশাক কিরনমালা, ঝিনুকমালা, বজ্রমালা, পাখি, আনারকলি, দীপিকা, সোনাক্ষী, ঝিলিক-২, রঞ্জনা, খুশি, ডিস্কোচালি, পাকিস্তানি লোন, টাপুর টুপুর, ফোলোরটার্চ, মহারানী ভিকটোরিয়া ডিজাইনের পোশাক থ্রি-পিচ আর তরুনদের মোদিকোর্ট, জিন্স প্যান্ট ও রেডিমেন্ট পোশাক।

এসব পোশাকের দাম ২ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকছেন দোকানিরা। তবে মেয়েদের কিরনমালা ও ঝিনুকমালা ড্রেস এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মেয়েদের কিরনমালা ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে দেড় হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার, ওয়েস্টার্ন ড্রেস ৫শ’ থেকে পাচ হাজার টাকা, পাখি লেহেঙ্গা তিন থেকে সাত হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভারতীয় শাড়ির চেয়ে এবার দেশি জামদানি, কাতান এবং টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ির বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দেশি তৈরি বুটিক থ্রি-পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি ও শিশুদের তৈরি বিভিন্ন পোশাকের চাহিদা রয়েছে। ছোটদের পোশাকের মধ্যে লেহেঙ্গা, মাসাক্কালি, সিঙ্গেল টপস, টপসসেট, গেঞ্জি সেটে দাম পড়ছে ১২০০ থেকে ৭ হাজার টাকা। পাঞ্জাবির মধ্যে বড়দের ধুতি কাতান ও ছোটদের ধুতি কাতান এবার বেশ জনপ্রিয়। তবে গতবার যে মূল্যে শার্ট ও পাঞ্জাবি বিক্রি হয়েছে এবার তার চেয়ে বেশি দাম বলে অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। পোশাকের পাশাপাশি মোবাইল ফোনসেটের বিক্রিও বেড়েছে।

দর্জি দোকানগুলো এখন মহাব্যস্ত । ঈদ সামনে রেখে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছে দর্জি ঘরের চাকা। নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই দর্জিদের। কারণ পছন্দ মতো পোশাক বানাতে তরুণ-তরুণীরা ভিড় করছে দর্জি দোকানগুলোতেই।

শহরের তৃষ্ণা শাড়ী বিতানের মালিক বিনয় সাহা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শাড়ীর কেনাবেচা খুবই কম। তবে ২৫ রমজানের পর থেকে কেনাবেচা বাড়তে পারে।

(একে/এসসি/জুলাই০৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test