E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নন্দীগ্রামে গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের মামলায় ৫জন গ্রেফতার

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৭:৫৬:২৮
নন্দীগ্রামে গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের মামলায় ৫জন গ্রেফতার

নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবশেষে ৯দিন পর আলোচিত গৃহবধু বিউটি খাতুন(৩০) হত্যাকান্ডের মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার আসামী আসলামকে ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বগুড়ার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) গাজীউর রহমানের নেতৃত্বে বগুড়ার ডিবির ওসি আমিরুল ইসলাম ও নন্দীগ্রাম থানার এসআই জালাল উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার রসবাঘা ও চৈয়তপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের মামলায় মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- রনবাঘা এলাকার ডা: নিজাম উদ্দিনের ছেলে আসলাম ফকির(৪০), উত্তর চৈয়তপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস(৫৫) ও তার ছেলে উজ্জল হোসেন(২৫), একই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে রায়হান কবির(২৫), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইউনুছ আলী(৫০)।

এদের মধ্যে আসলাম ফকিরকে(৪০) বুধবার আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমান্ডের আবদেন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর ৪জন আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই গৃহবধু হত্যাকান্ডের মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে। মামলার তদন্তস্বার্থে খোলাখুলিভাবে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

এপ্রসঙ্গে বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, গৃহবধু বিউটি হত্যা মামলার আসামীদের শনাক্ত করে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গৃহবধু বিউটি হত্যা মামলার অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বগুড়া সদরের চকসূত্রাপুর মহল্যার আকরাম হোসেনের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা ফেলে রেখে যায়। ২৪আগস্ট সকাল ৯টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৈডালার পূর্বপার্শ্বের চৈয়তপুর রাস্তার উপর থেকে গৃহবধু বিউটি খাতুনের গলায় বিছানার চাদরে মোড়ানো লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গৃহবধুর শরীরে থাকা ওরণা ও পড়নের পায়জামা রাস্তার ২০গজ অদূরে পড়েছিল। লাশের উপরে ছিল হাতঘড়ি ও গলার চেইন। লাশটির শরীরের উপর অংশে কাপড় থাকলেও নীচের অংশে ছিলনা। পরনে ছিল প্রিন্ট রংঙের থ্রি-পিচ। পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাঁকা ছিল। এঘটনায় গ্রাম্য পুলিশ হরেশ চন্দ্র বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।


(এমএনআই/এসসি/সেপ্টেম্বর০৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test