E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় দিনাজপুরে স্কুলছাত্রকে হত্যা

২০১৪ মে ২৬ ১২:০৭:৫১
মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় দিনাজপুরে স্কুলছাত্রকে হত্যা

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে অপহরণের ৫দিনের মাথায় স্কুলছাত্র সাইদুল মুরসালিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরনকারীরা তাকে হত্যা করেছে।

সদর উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মকসেদুল ইসলামের পুত্র সাইয়াদুল মুরসালিন (১৪)। স্থানীয় চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র।

মুরসালিনের বাবা মকসেদুল জানান, প্রতিবেশী রশিদুল বৃহস্পতিবার তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরনকারীরা। অবশেষে শুক্রবার অপহরনকারীদের ১০ লাখ টাকা দেয়ার জন্য রাজী হন তিনি। কিন্তু এরপর অপহরনকারীরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়ায় তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান মুরসালিনের পিতা।

অবশেষে সোমবার ভোরে অপহরণকারী পাশ্ববর্র্তী রশিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে লাশ বের করতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। সকালে পুলিশ হাত-পা বাধা অবস্থায় মুরসালিনের লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ জানায়, অপহরনের সাথে জড়িত রশিদুল ইসলামের বাবা ওবায়দুল স্বীকার করেন যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের খাটের নীচে পুতে রাখা হয়। এরপরও লাশের গন্ধ বের হওয়ায় রাতে লাশ বাড়ীর বাইরে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে এলাকার পরিবেশ। হাজার হাজার এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। টানা ৫ দিনের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার পর অবশেষে পুত্রের লাশ পেয়ে শোকে পাথর হয়ে যায় মুরসালিনের মা গুলশানা ফেরদৌস।

মুরসালিনের দুলাভাই মোরশেদুর রহমান অভিযোগ করেন, পুলিশকে সময়মতো খবর দেয়ার পরও পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার কারনেই মুরসালিন খুন হয়েছে। এজন্য পুলিশকেই দায়ী করেন তিনি।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই মুরসালিনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। অপহরণ হত্যার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে-রশিদুল ইসলাম, তার বাবা-ওবায়দুল হক, মা রওশন আরা, মাসিমপুর এলাকার সবুজ। অপর একজনের নাম জানা যায়নি।

এদিকে চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, মুরসালিন একজন মেধাবী ছাত্র ছিলো। বরাবরাই ক্লাসে প্রথম হয় সে। স্কুলের শিক্ষক ও তার সহপাঠিরা মুরসালিন হত্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

(এটি/জেএ/মে ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test