E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আত্রাইয়ে একের পর এক বেদখল হয়ে যাচ্ছে রেলের জায়গা!

২০১৫ নভেম্বর ০৯ ১৬:৫৩:১৫
আত্রাইয়ে একের পর এক বেদখল হয়ে যাচ্ছে রেলের জায়গা!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে একের পর এক বেদখল হয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের জায়গা-জমি। ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। সেই সঙ্গে অযত্ন-অবহেলায় নষ্টও হয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের কোটি টাকার সম্পদ । এসব সম্পদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে রেলের লাইনসহ মূল্যবান সম্পদ ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা ও জায়গা-জমি। ফলে রেল ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এসব দেখার কেউ নেই?

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আত্রাই পুরনো রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে বর্তমান ষ্টেশন আহসানগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার একাধিক লাইন দীর্ঘদিন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এ লাইনগুলো পরিত্যক্ত থাকায় একদিকে যেমন অযত্ন-অবহেলায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে অপরদিকে তেমনি অনেকটা বেদখল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে রেলের মূল্যবান লাইন। আত্রাই রেলওয়ে প্লাটফরম ও বিএডিসি গোডাউনের মধ্যবর্তী রেলের একাধিক লাইনের ওপর বালু ভরাট করে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা।

যুগ যুগ থেকে এসব লাইন অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় এবং রেলের সঠিক তদারকি না থাকায় দখলদাররা রেলের লাইনসহ জায়গা-জমি দখলে মেতে উঠেছে। এ ছাড়াও রেলওয়ের বিশাল গুদাম ও টিকিট ক্যালেক্টর ভবন পরিত্যক্ত থাকায় আস্তে আস্তে এর মূল্যবান জিনিষপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ওই ভবনের দরজা জানালা উধাও হয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

এদিকে রেলের এসব স্থাপনা পরিত্যক্ত থাকায় এবং রেলের নিজস্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতা না থাকায় এসব স্থাপনা অনেকটা অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে এসব স্থাপনা সংস্কার করা বা ভেঙ্গে দিয়ে বিস্তীর্ণ এই এলাকা জুড়ে মার্কেট গড়ে তুললে একদিকে রেলের রাজস্ব আয় বাড়বে, অন্য দিকে কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে এলাকার শত শত বেকার যুবক।

আত্রাই রেল ষ্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের আব্দুল মতিন মামুন বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনে রেল প্রতিনিয়ত লোকসানের শিকার হচ্ছে। আত্রাই রেল ষ্টেশনের নিচ দিয়ে কেডিসি পর্যন্ত তাদের গুদাম ও অন্যান্য পরিত্যক্ত স্থাপনা সড়িয়ে এখানকার জায়গা দখলমুক্ত করে মার্কেট তৈরি করলে রেল প্রতি মাসে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে।

স্থানীয়রা বলেন, গুদামের উত্তর দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশ বেদখল হয়ে গেছে। এভাবে পড়ে থাকলে কিছুদিন পর হয়ত গুদামের টিনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আত্রাই রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিচের গুদামঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

সান্তাহার রেলওয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী আব্দুস সালাম খান বলেন, আত্রাইয়ে রেলের লাইন বালু বা মাটি দ্বারা ঢেকে সেখানে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং রেলের সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ আমাকে কেউ দেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(বিএম/এএস/নভেম্বর ০৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test