E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ: প্রতিবাদ করায় জেলে পাঠালো পুলিশ

২০১৬ জুন ২৬ ১৩:১৭:২৯
সাতক্ষীরায় প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ: প্রতিবাদ করায় জেলে পাঠালো পুলিশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়ির প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেবনগর গ্রামের মৃত কওছার আলীর ছেলে আইনজীবী সহকারি ফারুক হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি পৈত্রিক সূত্রে মথুরাপুর মৌজার ১১৪৬ দাগে সাড়ে ১৮ শতক জমি পান। ওই জমি তার ভোগ দখলে রয়েছে। সম্প্রতি দেবনগর গ্রামের ইবাদুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির, হুমায়ুন কবিরের ছেলে মাহমুদুল হাসান রনি ও ইমাদুল হাসান জনি, একই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান, মৃত গোলাম রহমানের ছেলে শামছুর রহমান, ইবাদুর রহমানের ছেলে আকরামুল কবীর, মথুরাপুর গ্রামের সামাদ ঢালীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও দেবনগর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ পরস্পর যোগসাজশে বাড়ির প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অপচেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ দখলীয় বিষয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, একই ঘটনায় উল্লেখিতরা তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং সদর থানাকে ম্যানেজ করে তার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তার আইনজীবী রেজাউল ইসলামসহ তার নামে একাধিক মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ২৫ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে বাধীত আদেশ প্রদান করলে উল্লিখিতরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত ২২ জুন হুমায়ুন কবিরসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার জমিতে প্রবেশ করে প্রাচীর ভাঙে রাস্তা নির্মাণ করতে থাকে। এ সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে এএসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যার এবং উল্টো তার ভাই ইমরানকে আটক করেন।

তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা গ্রামবাুিস জানায় ইমাদুল রহমানের ছেলে সন্ত্রাসী ইমাদুল হাসান জনি জামায়াতের সক্রিয় সমর্থক ও ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি পরবর্তী জেলাজুড়ে বিভিন্ন্ নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখের বাসায় ফাই ফরমাস খেটে আসছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই॥সে এ ধরণের ভাঙচুর ও লুটপাট করার সাহস পেয়েছে । এমনকি জবরদখল ও লুটপাটে বাধা দেওয়ায় পুলিশ দিয়ে নির্যাতিত পরিবারের সদস্য ইমরান হোসেনকে কাল্পনিক অভিযোগে জেলে পাঠিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত নিজ বাড়ির প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে তিনি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।



(আরএনকে/এস/জুন২৬,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test