E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি, সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার

২০১৬ জুন ২৯ ২১:১২:৫৮
ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি, সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই রমজানের শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে সাতক্ষীরার ঈদ বাজার। অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রিয়জনকে উপহার দিতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনা কাটায় পিছিয়ে নেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও।

সরেজমিনে বর্ষামুখর বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দেখা গেছে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট, চায়না বাংলা শপিং সেন্টার, সাতক্ষীরা শপিং সেন্টার, বসুন্ধরা টাওয়ার, মেহেরুণ প্লাজা, আমিনিয়া মার্কেট, সুলতানপুর বড়বাজার ও থানা সড়কের ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের নতুন পোশাক কিনতে আধুনিক ফ্যাশান হাউজগুলো ছেড়ে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় করছেন ক্রেতারা।

বস্ত্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও সামছুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা সীমান্তের বিপরীতে দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে রয়েছে ভারত। ঈদ উপলক্ষে বৈধভাবে ছাড়াও অবৈধপথে এ সীমান্ত পেরিয়ে আসা ভারতীয় কাপড় ও থ্রিপিচসহ বিভিন্ন পোশাকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন মার্কেট ছেয়ে গেছে। স্থানীয় মার্কেটগুলোতে মান সম্মত দেশীয় পোশাক সামগ্রী থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা ভারতীয় পোশাকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে আকর্ষণীয় পোশাকের মধ্যে রয়েছে বাজিরাও মাস্তানি, সারারা, লেন্ত,লাসা, লং স্কার্ট, শর্ট স্কার্টসহ বিভিন্ন নামের থ্রিপিচ ও ফোর পিচ পোশাক। তবে দেশি পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। আকৃষ্ট করেছে দেশীয় পণ্য, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি, খদ্দর, মনিপুরী, রাজগুরু, বালুচরী, জর্জেট শাড়ি। তারা বলেন ভারতীয় কটকটি থ্রি-পিচ, দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা, কিরণমালা আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা, মধুমালা দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা, মায়াপুরি সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, ফ্লোরটাচ সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকা, লং পটি ফোরপিচ আট হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা। তারা বলেছেন, ভারতীয় পোশাকের দাম বেশি। সে তুলনায় দেশীয় পোশাকের দাম কম ও মান ভাল। নতুন নতুন দোকানে ইতিমধ্যে তরুণ-তরুণীরা ভিড় করছেন। পালকি শাড়ি হাউজ, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর, মিম গার্মেন্টস, বেবী ফ্যাশান, রংধনু বস্ত্র বিপনী, সাত রং বস্ত্র বিপনী, ভ্যারাইটি স্টোর এণ্ড সন্স, নবরুপা ফ্যাশান, ফ্যাশান এশিয়া, লেডিস কর্ণারসহ অন্যান্য সিট কাপড়ও তৈরি পোশাকের দোকানে সকাল ১০টার পরপরই থাকছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। একইভাবে টুপি হাউজ, নিপুন সু স্টোর্স, লিবার্টি সু স্টোর্স, ন্যাশনাল ভ্রারাইটি স্টোর্স, ইত্যাদি, সুবর্ণা স্টোর্সে ও ভিড় চোখে পড়ার মত।

ব্যবসায়ি অজিত কুমার অধিকারী বলেন, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে থানা মসজিদের সামরনে ফুটপাতে বেশ কয়েকটি দোকান দিয়েছে। এসব মার্কেটেও জমে উঠেছে বেচাকেনা। থানা মসজিদের বিপরীতে পালকি শাড়ি হাউজের স্বত্বাধিকারি মিলটন হোসেন বলেন, প্রতিটি পোশাকই দর্শক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। বিক্রি ভাল হওয়ায় সন্তুষ্ট। কালীগঞ্জের বিষ্ণুপুর থেকে আসা নূরুল হক সরদার বলেন, পছন্দমত ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যা পাওয়া যাচ্ছে তার দাম গত বারের তুলনায় অনেক বেশি। একইভাবে নিপুন সু-হাউজে জুতা কিনতে এসে দাম বেশির কথা জানালেন শ্যামনগরের কৈখালি গ্রামের আফজাল হোসেন। তবে দেবহাটার টিকেট গ্রামের রজব আলী ও সাহেব আলী জানান, শহরে ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করায় শহরে সাধারণ মানুষ অনেকেই উঠতে পারছেন না। ফলে বেচাকেনা কমেছে।

সাতক্ষীরা চায়না বাংলা শপিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী একেএম আনিছুর রহমান জানান, এক ছাদের নিচে জামা কাপড়, প্যান্ট পিচ, শার্ট পিচ, থ্রিপিচ, কসমেটিকস, গ্রোসারি পণ্য পাওয়ার সুযোগ আছে এখানে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও গত বারের তুলনায় এবার বেচাকেনা ভাল উল্লেখ করেই তিনি বলেন, এ অবস্থা ঈদ পর্যন্ত চলবে বলে তিনি আশাবাদি।

(আরকে/পি/জুন ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test