E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

গোবিন্দগঞ্জের  মার্কেট গুলোতে ঈদের কেনা-কাটা জমে উঠেছে

২০১৬ জুলাই ০৩ ১৫:৫৯:১৩
গোবিন্দগঞ্জের  মার্কেট গুলোতে ঈদের কেনা-কাটা জমে উঠেছে

গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি :গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতেশেস মূহুর্তে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পোষাক-পরিচ্ছদ ও জিনিষ পত্রের দাম বেশী হলেও মধ্যবিত্ত ও বিত্তশালীরা মার্কেট গুলোতে ব্যাপক কেনাকাটা করছে। অপরদিকে নিম্ন আয়ের মানুষের  ঈদের কেনা-কাটার নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল বাজার মার্কেট ও ফুটপাত গুলোতেও উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে।

ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোবিন্দগঞ্জের মাকের্টের দোকান গুলো ব্যাপক রকমারি পণ্যে সাজানো হয়েছে। রাজমতি সুপার মার্কেট, জাহানারা মার্কেট, ,গোলেজা মার্কেট, দোলন প¬াজা, টি এস প¬াজা, জাওয়াদ প¬াজা, সহ অর্ধ-শতাধিক মার্কেট এবং মহিমাগঞ্জ, ফাশিতলা, কোমরপুর, কামদিয়া, বিরাট বন্দরের দোকান গুলোতে হাজারো রকমের পোষাক, তৈজসপত্র, গহনা আর কসমেটিক্স সামগ্রীতে ভড়ে গেছে। তবে এসব দোকান গুলোতে চোরাচালানের ভারতীয় পণ্য সামগ্রীই বেশী। ঈদ উপলক্ষে ভারতীয় মালামালের চোরাচালানও চলছে ব্যাপক হারে। প্রতিদিন হিলি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় মালামাল চোরাকারবারীরা গোবিন্দগঞ্জে আনছে।

১৫ দিন আগে থেকেই মার্কেট গুলোতে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেট গুলোতে কেনা-কাটাও ততই জমে উঠেছে। গভীর রাত পর্যন্ত এসব দোকানে বেচা-কেনা চলছে। ব্যবসায়ীরা জানায়- শিশু ও মহিলাদের পোষাক যেমন-থ্রি-পিস, ফোর পিস,শাড়ি, লেহেঙ্গা, আনারকলি, মাস্াককালি ইত্যাদির দাম গত বছরের তুলনায় বেশী হলেও ক্রেতারা তা কিনছে। অপরদিকে এবছর গার্মেন্টসের দোকান গুলোতে বিশ্বকাপ খ্যাত অক্টোপাস পল ও ওয়াকা ওয়াকা গানের শিল্পী শাকিরার নামে বিভিন্ন পোষাক এসেছে। এসব থ্রি-পিস,শাড়ি ৬০০টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩শ’ টাকা থেকে ২হাজার টাকায় ছেলেদের পান্জাবী,৫শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকায় জিন্সের প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে। জুতার দোকান গুলোতে সব বয়সের মানুষেরই ভিড় দেখা যাচ্ছে। আর কসমেটিক্স দোকান গুলোতে শিশু থেকে বৃদ্ধ মহিলাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতারা জানায়- দাম বেশী হলেও স্ত্রী, সন্তানদের আবদার আর বাড়ির লোকজনদের জন্য ঈদের এ উৎসবে খরচ তো করতেই হবে।
অপরদিকে নিম্ন আয়ের মানুষের ঈদ উৎসবের কেনা-কাটার জন্য বাজার মার্কেট ও ফুটপাত গুলোতেও কেনা-কাটা জমে উঠেছে। তারা তাদের সাধ্য মত সন্তান,স্ত্রী,ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য কেনা-কাটা করছে।নিম্ন আয়ের মানুষের ঈদ যেন গোদের উপর বিষ ফোড়া। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুড়ায় তাদের জন্য ঈদ্ হল বাড়তি খরচ।।বড় লোকদের ছেলে মেয়ের পুরানো কাপড়-চোপর, জাকাতের কাপড় আর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে চেয়ে আনা লাচ্ছা,সেমাই, চিনি দিয়ে পালন হবে তাদের এবার ঈদ উৎসব। তাইতো বড় ক্ষোভের সঙ্গে বার্না গ্রামের রিক্সা চালক আইয়ুব আলী জানালেন-ঈদ বড়লোকদের জন্য আনন্দ উৎসবের দিন হলেও তাদের জন্য প্রতিদিনের মতই একদিন।



(এসআরডি/এস/জুলাই০৩,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test