E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কমলগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিাবহ পণ্ড

২০১৬ জুলাই ২১ ০৯:২৮:৪৬
কমলগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিাবহ পণ্ড

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :জেলার কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ নং ওয়াডের পূর্ব রামপাশা গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সকাল থেকে বিয়ে বাড়ীতে আনন্দের ধুম পড়ে গিয়েছিল। দুপুর গড়িয়ে যখন বেলা বাড়ে তখন মুখে রুমাল আর লাজুক ভঙ্গিতে ৭ টি মাইক্রবাস ও প্রায় ১০০ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ীতে প্রবেশ করেন কুলাউড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মইনুল ইসলাম (৩০)। শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা, কাজী আব্দুল কাইয়ুম বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর শুরু হয় বর পক্ষের অতিথিদের আপ্যায়ন। তখন প্যান্ডালের এক পাশে বরের জন্য নির্ধারিত মঞ্চে রুমাল মুখে বসেছিলেন বর মোঃ মইনুল ইসলাম। বিয়ে বাড়ীতে পুলিশ আসছে এমন সংবাদ পাওয়া মাত্র বর মইনুল ইসলাম মঞ্চ ছেড়ে পালিয়ে যান। সাথে পালিয়ে যান বিয়ে পড়াতে আসা কাজি আব্দুল কাইয়ুম।

বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বিকাল ৩ টায় কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল আলম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নিয়ে থানা পুলিশ সহ ছুটে যান স্থানীয় সফাত আলী সিনিয়র মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কনে ১৪ বছর বয়সী তাহমিনা আক্তারের বাড়ীতে। এ সময় পুলিশ দেখে বর পক্ষ ও কনে পক্ষের লোকেরা চারি দিকে ছোট ছুটি শুরু করলে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল আলম পৌর কাউন্সিলর ফখরুল তরফদার ও মহিলা কাউন্সিলর শাপলা আক্তারের উপস্থিতিতে কনের পিতা আলকাছ মিয়া ও মাতা রুৎফা বেগমকে ডেকে এনে বাল্য বিবাহে সরকারি বিধি নিষেধের কথা বলেন এবং কনের ১৮ বছর না হওয়ায় বিয়ে বন্ধের আদেশ প্রদান করেন ।

জন্ম নিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী কনে তাহমিনা আক্তারের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ না হওয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর এর জিম্মায় রেখে দিয়ে কনে পক্ষকে সতর্ক করে বলা হয় স্বামীর বাড়ীতে পাঠালে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এমএকে/এস/জুলাই ২০,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test