E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বড়লেখায় অপহরণ,ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

২০১৬ আগস্ট ০৯ ২০:৫১:৪৯
বড়লেখায় অপহরণ,ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি  : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অপহরণপূর্বক ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি আমির উদ্দিন (২৫) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ভোররাতে সিলেট শহরের কাজীটোলা এলাকা থেকে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানের নের্তৃত্বে এসআই জাহাঙ্গীর আলম, দ্রুবেশ চক্রবর্তী ও ইয়াকুল আলী আমিরকে গ্রেপ্তার করেন। আমির উদ্দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিছরাবাজার গ্রামের বাসিন্দা সুজা মিয়ার ছেলে।

থানা পুলিশ জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই কুমারসাইল গ্রামের এমদাদুর রহমানের মেয়ে রুমা বেগম (১৭) কে গত ১৭ জুলাই প্রেমিক আমির উদ্দিন ও তার এক সহযোগী চা-বাগানের হুঙ্গালটিলা এলাকায় রাতভর ধর্ষণ করেন। পরে আহত অবস্থায় পাশের বেরেঙ্গা চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোর কাছে ভোররাতে তাকে ফেলে যায়। সেখান থেকে স্বজনরা উদ্ধার করে রুমাকে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই সে মারা যায়। পরদিন ২৫ জুলাই রুমার বাবা বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় কুমারসাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনকে ১নং ও প্রেমিক আমির উদ্দিনকে ২নং আসামি করে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বলেন, ‘আজ ভোররাতে সিলেট থেকে আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’




‘দায়ের কোপে বৃদ্ধের হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন’


মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় জমিসংক্রান্ত্র বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে বেলাল আহমদ (৫৬) নামে এক ব্যক্তির বাম হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হামলায় বেলাল আহমদের স্ত্রী আয়রুন বেগম (৪৫) আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারতল-ইসলামনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহত দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গছে, বোবারতল-ইসলামনগর গ্রামের বেলাল আহমদ ও তাজিম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি জমি থেকে লেবু চুরির ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ আরও বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনার জের ধরে গত রবিবার (৭ আগস্ট) বেলাল আহমদের পক্ষের লোকজনের হামলায় তাজিম উদ্দিন গুরুতর আহত হন। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাজিম উদ্দিনের বাম কানসহ কাধ পর্যন্ত কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় তাজিম উদ্দিনের বাবা আব্দুস শুকুর বাদী হয়ে সোমবার (৮ আগস্ট) বেলাল আহমদ, তাঁর স্ত্রী আয়রুন বেগম ও ছেলে কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ কামরুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে এদিন সোমবার মামলা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর তাজিম উদ্দিনের লোকজন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বেলাল আহমদের উপর হামলা করলে হামলাকারীদের দায়ের কোপে বেলাল আহমদের বাম হাতের কনুইয়ের উপর থেকে নিচের অংশ আলাদা হয়ে গেছে।
তাঁকে রাত সোয়া সাতটার দিকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বেলাল আহমদের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় আহত বেলাল আহমদের স্ত্রী আয়রুন বেগমকেও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র সরকার মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রবিবার জাগাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারি হয়েছে। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার তাজিম উদ্দিনের পক্ষ থেকে মামলার পরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার পর তাজিম উদ্দিনের পক্ষের লোকজন বাড়ি ফিরে গিয়ে বেলাল আহমদের উপর হামলা করে। হামলায় বেলালের বাম হাতের কুনইর উপরে কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।’

(এলএস/এস/আগস্ট০৯,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test