E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবৈধভাবে বালি উত্তোলেন, হুমকির মুখে ত্রিশাল নান্দাইল সংযোগ সেতু 

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০২ ১৭:০৮:১১
অবৈধভাবে বালি উত্তোলেন, হুমকির মুখে ত্রিশাল নান্দাইল সংযোগ সেতু 

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : বহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় হুমকি মুখে পরেছে নদীর উপর নবনির্মিত ত্রিশাল বালিপাড়া নান্দাইল সড়কের ব্রক্ষপুত্র নদের উপর নির্মিত ব্রীজটি, নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আশে পাশের বাড়িঘর। 

জানা যায় এক বছরের জন্য চরমাদাখালী ও চর ভেলামারীতে বালি উত্তোলনের জন্য স্থানীয় শহীদুল্লাহ ও সামাদকে ইজারা দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ইজারাদার কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২ মেশিন বসানোর অনুমোদন থাকলেও বিভিন্ন ভাবে প্রায় ৩০টির বেশী মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। এতে একদিনে যেমন নদী তার নাভ্যতা হারাচ্ছে অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। ব্রক্ষপুত্র নদের উপর বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের ভিত্তিতে ত্রিশাল বালিপাড়া নান্দাইল সড়কের উপর ২০১৫ সালে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রীজ নির্মান করা হয়। নির্মানের ২ বছরের মধ্যে ব্রীজটি খুটির নিচে বালি সরে যাওয়ায় পাইলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ব্রীজটি হুমকি মুখে পরে। বালি উত্তোলন কারীদের ব্রীজ থেকে কমপক্ষে তিন কিলোমিটার দুরে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের কথা থাকলেও ২০০ গজের মধ্যেই ৪টি মেশিন বসানো হয়েছে। এতে করে ব্রীজের তলা থেকে বালি সরে গিয়ে ব্রীজের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। তাছাড়া সরকার অনুমোদিত ওয়ার্ক অর্ডারে চর ইছামতি ও চড় ভেলামারিতে বালি রাখার স্থান হলেও নিজেদের স্বার্থে ব্রীজের নিচেই বিয়ারা মৌজাতে রাখছে। এতে করে বালির নিঃগৃত পানির ঢল ব্রীজের নিচ দিয়ে নামার কারনে পিলারের পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে ব্রীজের পাশ থেকে বালি উত্তোলন ও সংগৃহীত বালির নিঃগৃত পানির ঢলে ব্রীজের অনেক স্থায়িত্বের ক্ষতি হবে। এমনকি যদি ব্রীজের মেয়াদ ৫০বছর দেয়া হয় সেখানে ১০ বছর ঠিক থাকার সম্ভাবনা নেই।

জেলা প্রসাশকের এসএ শাখার থেকে প্রাপ্ত আদেশ থেকে জানায়ায় ইজারাদার মাত্র দুটি মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করতে পারবে। সরজমিনে গিয়ে জানাযায় কমপক্ষে ৩০ টিরও বেশী মেশিন বসিয়ে অনবরত প্রসাষনের নাকের ঢগা দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য মতে জানা যায় ৩০ থেকে মাঝে মাঝে ৫০ টিরও অধিক মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করতে দেখা যায়।

এ ব্যপারে ঘাটে থাকা শ্রমিকের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ইজারাদাররা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়াই কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে এবং রাতে সরকারী কোন অনুমোধন না থাকলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতি গাড়ি থেকে ১০/২০ টাকা টোল আদায় করে। কোন ড্রাইভার প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ইজারাদার শহীদুল্লাহর কাছে যোগাযোগ করা চেষ্টা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এমআরএন/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test