E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

কৃষিতে বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দাবি

২০১৪ জুন ১১ ১৯:৩৭:৩০
কৃষিতে বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : কৃষি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম শতকরা ২০ ভাগ বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে।  বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইক্যুইটিবিডিসহ ১৫টি জাতীয় ও জেলা কৃষক সংগঠন আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করার বদলে কতিপয় বহুজাতিক মুনাফাখোর কোম্পানীর হতে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে কৃষকরা উৎপাদন ও মূল্য প্রতিযোগিতায় মার খেয়ে ভবিষ্যতে সর্বস্বান্ত ও ভূমিহীন দিনমজুরে পরিনত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত ১২ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার কৃষি বাজেট বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। সরকার আন্তজার্তিক অর্থ তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের তথাকথিত পরামর্শে প্রতি বছর বাজেটে কৃষি খাতকে অবহেলা করছে এবং এ খাতে বাজেট বৃদ্ধির পরিবর্তে অনাকাঙ্খিতভাবে বরাদ্দ হ্রাস করছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০২১ সালে বর্ধিত জনসংখ্যা অনুযায়ী উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ও খাদ্য সংকট মোকাবেলা সরকারের জন্য আরো কঠিন হবে এবং তাতে দারিদ্র বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের মইনুদ্দিন হাওলাদার বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন কৃষি খাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য বর্তমান নীতিসমুহ যে কোন মূল্যে বজায় রাখা হবে। অথচ কৃষি বাজেটে ভর্তূকীর জন্য গত বছরের ৯ হাজার কোটি টাকাই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কোন বর্ধিত বরাদ্দ তিনি দেন নাই।

কিন্তু বর্তমানে চলমান শতকরা আট ভাগ মূল্যস্ফীতি হিসাব করলেও আরো অতিরিক্ত ৭শ’ কোটি টাকা ভর্তূকী প্রয়োজন রয়েছে কৃষি উপকরনের উপর ক্রয়ক্ষমতা সমন্বয় করার জন্য। কিন্ত সরকার এ খাতে ভর্তূকী না বাড়িয়ে আমাদের সাথে প্রতারনা করছেন এবং কার্যত আমাদের মুনাফাখোর কোম্পানীগুলোর কাছে যেতে বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, নতুন অর্থবছরে জ্বালানী তেলের বর্ধিত মূল্য যুক্ত হলে তা কৃষি ও কৃষকের জন্য আরো কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে আগামী বছরগুলোতে আরো বেশি খাদ্য আমদানী করতে হবে।

ইক্যুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, স্থানীয় কৃষকদের সুরক্ষা দেবার জন্য সকল দেশেই এন্টি ডাম্পিং শুল্ক বা অন্যান্য ব্যবস্থা থাকে। এর উদ্দেশ্য বিপুল ভর্তুকীপ্রাপ্ত কৃষি পণ্য যাতে একটা দেশের বাজারে অবাধে ঢুকে সেখানকার কৃষিপণ্যের বাজার নষ্ট করতে না পারে এবং স্থানীয় কৃষক ন্যায্য মূল্য পায়।

কিন্তু আমাদের দেশে সরকারের নতজানু মনোভাব ও ভুলনীতির কারণে বহুজাতিক কোম্পানী রমরমা ব্যবসা করে। বিপরীতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য নতুন বাজেটে আমদানীকৃত কৃষি পণ্যের উপর এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা উচিত।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা কামাল আকন্দ, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী ফেডারেশনের সভাপতি মনির আহমেদ, বরগুনা কৃষক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান মুন্সী, আমিনুর রসুল বাবুল প্রমুখ।

(ওএস/এস/জুন ১১, ১০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test