E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তা অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ

২০১৬ অক্টোবর ০১ ১৮:৪০:২৩
গৌরীপুরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তা অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কলতাপাড়ায় শনিবার ডেল্টা স্পির্নাস লিটিমটেডের শ্রমিকরা শ্রম আইনানুযায়ী বেতন-ভাতা সহ অন্যান্য ন্যায্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ, মিলে হামলা ভাংচুর ও দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরে নেয়। শ্রমিকরা অভিযোগ করে, মিলের মালিকের লেলিয়ে ক্যাডার আবুল কালাম এক নারী শ্রমিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় শ্রমিকরা আবারও বিক্ষুব্দ হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৩ জুলাই ডেলটা স্পিনার্স মিলের শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে মিলগেটে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। ঐ সময় শ্রমিকরা শ্রম আইনানুযায়ী বেতন-ভাতা, ঈদ বোনাস বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ৬মাসের ছুটি, মাসের ১-৫তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, অতিরিক্ত কাজের প্রাপ্য মজুরী দেয়া, পহেলা বৈশাখ, শারদীয় দূর্গোৎসবসহ সকল সরকারি ছুটি বাস্তবায়ন, কথায় কথায় শ্রমিক নির্যাতন বন্ধকরণ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামে। পরে মিল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা পুনরায় কাজে যোগ দেয়। কিন্তুু গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস পার হয়ে গেলেও শ্রমিকদের কোনো দাবি মিল কর্তৃপক্ষ পূরণ না করায় শনিবার দুপুরের শিফটের শ্রমিকরা কর্মবিরতিন ডাক দিয়ে আবারও আন্দোলনে নামেন।

মিলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ মাহমুদুল হাসান মুন্সী জানান, শ্রমিকদের উপর কোন নির্যাতন চালানো হয়নি, আবুল কালাম মিলের কোন শ্রমিক নয়, বহিরাগত। তাদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি ছাড়া অধিকাংশ দাবিই মেনে নেয়া হয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ মিল কর্তৃপক্ষের হয়ে শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। তারা অভিযোগ করেন, মাসের ২০তারিখ হলেও বেতন পাওয়া যায় না। কবে বেতন দেয়া হবে কেউ বলতে পারে না। অপারেটর সালেহা জানান, ৮বৎসর যাবত কাজ করছে বেতন ৪হাজার টাকা। ঈদ বোনাস দেয়া হয়েছে ২হাজার টাকা। চিকিৎসাভাড়া, বাড়ি ভাড়াসহ শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না।

লায়লা আক্তার জানান, মাতৃত্বকালীন ছুটি সরকার ৬মাস দিলেও আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩মাস। শ্রমিক পারভীন আক্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন ২০বছর ধরে কাজ করছি বেতন মাত্র ৩হাজার টাকা। একদিন অনুপস্থিত হলেই হাজিরা বোনাসসহ ৭শ/৮শ টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। মিলের রিং সেকশন, কোন, বুলুরুম, ডায়িং, কাটিং, স্যামকেলিং, বয়লার, ডিলিং ও ফিনিশিং সেকশনের শ্রমিকরা কয়েক দফা আন্দোলন করলেও মালিকপক্ষ কোন প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বলে দাবি করেন। এ রির্পোট পাঠানো পর্যন্ত শ্রমিকদের কর্মবিরতী চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(এসআইএম/এএস/অক্টোবর ০১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test