E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

২০১৬ নভেম্বর ২৯ ১৮:৪৪:০৭
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি থেকে উচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর আলোকে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখা।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনয় দেব বলেন, ভূমি উদ্ধার কমিটির ব্যানারে জমি উদ্ধারের নামে সহজ সরল সাঁওতাল সম্প্রদায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে একটি মহল। তাদের লোভের বলি হয়ে যেমন প্রাণ গেছে সাঁওতালদের, তেমনি সব সময়ই সাঁওতালসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরীক্ষিত বন্ধু গোবিন্দগঞ্জ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

তারা বলেন, ১৯৫৪ সনে আঁখ চাষের জন্য জয়পুর/মাদারপুরসহ ০৫টি গ্রামে মোট ১৮৪২ একর জমি রংপুর চিনিকল কতৃপক্ষ হুকুমদখল করেন এবং ১৯৬২ সনে চিনিকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হুকুম দখলকৃত জমির মালিকদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের পর মিল কতৃপক্ষ যথাযথ ভাবে হুকুম দখলকৃত জমির প্রকৃত মালিকদের ক্ষতিপূরনের টাকা পরিশোধ করেন। সে চুক্তির একটি শর্ত ছিল যদি কোন সময়ে চিনিকল বন্ধ হয়ে যায় সে সময়ে হকুম দখলকৃত জমি গুলো প্রকৃত মালিকদের নিকট ফেরৎ দেয়া হবে। মাঝে ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকার চিনিকলটি বন্ধ করে দিলেও দুই বছর পর ২০০৬ সালে আবার তা চালু করা হয়।

এ সময় তৎকালীন সরকারদলীয় এমপি মরহুম মোত্তাল্লেব হোসেন চিনিকল কতৃপক্ষের সাথে যোগসাজস করে তৎকালীন সরকারদলীয় প্রভাবশালীরা এই খামারের কিছু জমি স্বল্পমূল্যে লীজ গ্রহণ করে। তখন থেকেই মূলত আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায় স্থানীয় কিছু সংখ্যক ভূমিদস্যুর খপ্পরে পরে তথাকথিত ভূমি উদ্ধার কমিটির ব্যানারে আন্দোলনের নামে চিনিকল কর্তৃপক্ষের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় আন্দোলনরত ভূমি উদ্ধার কমিটি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের শরণাপন্ন হয়ে ভূমি উদ্ধারে সহযোগিতা চাইলে তিনি সঠিক কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

এ লক্ষ্যে চিনিকল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের উদ্যোগও নেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজনকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিএনপি নেতা শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে তথাকথিত ভূমি উদ্ধার কমিটির নামে সাঁওতালদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। জমি উদ্ধারের নামে সাঁওতালদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে এরাই এখন ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে একজন জনপ্রিয় নেতার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্যের উন্মোচন ও অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন। চিনিকল বন্ধ হয়েগেলে জমি প্রকৃত মালিকদের নিকট ফেরৎ দেয়া হবে- চিনিকল কতৃপক্ষের সাথে হওয়া চুক্তিপত্র তাদের কাছে আছে কি? প্রশ্নের উত্তরে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা শুনেছি দেখি নাই।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা শাখার নেতা রণজিৎ বকশী সূর্য্য, দীপক কুমার পাল, দীপক কুমার কর, উপজেলা নেতা শৈলেন্দু মোহন রায় স্বপন, রিমন কুমার তালুকদার, আশীষ কুমার রন্টু প্রমুখ।

(এসআরডি/এএস/নভেম্বর ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test