E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গলাচিপায় ননদের নির্যাতনের শিকার মা-মেয়ে

২০১৭ জুলাই ০১ ১৩:০৩:৩৫
গলাচিপায় ননদের নির্যাতনের শিকার মা-মেয়ে

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুহত্তরি সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে ননদদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গৃহবধু তহমিনা বেগম (৩৫) ও তার কন্যা সন্তান মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী তানিয়া আকতার (১২)।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরখালী গ্রামে। গৃহবধু তহমিনা বেগম হচ্ছেন ওই এলাকার আ: গফুর মৃধার স্ত্রী।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আ: গফুর মৃধার নিজ বাড়িতে বসে গৃহবধু তহমিনাকে ও তার কন্যা তানিয়া আকতারকে লাঠি সোটা দিয়ে বেদম প্রহার করে গৃহবধুর ননদ মোমিনুর বেগমের স্বামী মিজান প্যাদা, মিজান প্যাদার ছেলে মামুন প্যাদা, ননদ মোমিনুর বেগম ও ননদ গোলেনুর বেগম।

মিজান প্যাদা হচ্ছে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের তেতুল তলা গ্রামের মৃত কাদের প্যাদার ছেলে। বর্তমানে ননদ মোমিনুর বেগম তার স্বামী মিজান প্যাদা ও ছেলে মামুন প্যাদা সহ মোমিনুর বেগমের বাপের বাড়ি দক্ষিণ চরখালী গ্রামে জোর পূর্বক ঘর উঠিয়ে বসবাস করছে। আর অন্য ননদ গোলেনুর বেগম হচ্ছে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চরচন্দ্রাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ব্যাপারে গৃহবধু তহমিনা বলেন, ঈদে ওরা আমার স্বামীর বাড়িতে আসলে বুধবার সন্ধ্যায় ওরা আমার শ্বশুর বাড়ির মালামাল জোর পূর্বক নিতে গেলে আমি বাঁধা দেই। তখন ওরা একজোট হয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে ও কিল ঘুষি দিয়ে আমাকে আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তখন আমার মেয়ে তানিয়া আমাকে বাঁচাতে গেলে ওরা তানিয়াকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আমাকে ও আমার মেয়েকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

গৃহবধু তহমিনা আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার অ্যাপেনডিস-এর অপারেশন হয়েছে। ওদের মারের আঘাতে আমার অপারেশনের ওই ক্ষত স্থান দিয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরন হয়েছে। আমার তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা করছে। আমি কথা বলতে পারছিনা।

বর্তমানে গৃহবধু তহমিনা ও তার কন্যা তানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় ১৩ ও ১৪ নম্বর বেডে ডা: মো: মস্তফা সিকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে জানান, মা ও মেয়ের শরীরে আঘাতের কালো কালো দাগ আছে এবং তলপেটের সেলাই থেকে অনেক রক্তক্ষরন হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো: কাওসার মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় গৃহবধু তহমিনার স্বামী আ: গফুর মৃধা বাদী হয়ে মিজান প্যাদা, মামুন প্যাদা, মোমিনুর বেগম ও গোলেনুর বেগমের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গলাচিপা থানার এসআই মো.নজরুল ইসলাম শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে।

(এসডি/এসপি/জুলাই ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test