E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিরাপত্তার স্বার্থেই খালেদার মামলা স্থানান্তর : আইনমন্ত্রী

২০১৮ জানুয়ারি ০৮ ১৬:৪৮:২৯
নিরাপত্তার স্বার্থেই খালেদার মামলা স্থানান্তর : আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপত্তার স্বার্থেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৪টি মামলা বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার সচিবালয়ে লন্ডনের স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট টাওয়ার হ্যামলেটের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পিকার সাবিনা আক্তারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

‘খালেদা জিয়ার ১৪টি মামলা কেন বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে? অনেকে বলছেন এর সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে’- সাংবাদিকদের এমন কথার উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মোটেও রাজনৈতিক কারণে করা হয়নি। আমরা দুই পক্ষেরই সিকিউরিটির ব্যাপারটি চিন্তা করে...।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন উনি একলা (আদালতে) যান না। কোথা থেকে ৩০০/৪০০ লোক গুছিয়ে নিয়ে সেখানে যান। তারা অনেক সময় সিকিউরিটির বিঘ্ন ঘটায়। তার (খালেদা জিয়া) সিকিউরিটিও দেখা প্রয়োজন। আমরা দু’দিক থেকেই মনে করেছি সেখানে তার মামলার বিচার হলে এসব প্রতিবন্ধকতা থাকবে না, সেজন্যই করেছি। এর বাইরে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আমাদের নেই।’

খালেদা জিয়ার মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য আদালত স্থানান্তর করা হল কিনা- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘নো নো, ডিউ প্রসেসে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো শেষ হচ্ছে। যেই মামলাগুলো এখন চলছে, সেগুলো ৫/৬ বছর ধরে চলছে। এক্ষেত্রে কোনো মামলাই দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’

‘শেখ হাসিনার সরকার প্রমাণ করেছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অন্য যে কোনো সরকারের চেয়ে আমাদের কন্ট্রিবিউশন অনেক অনেক বেশি। আমরা এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি।’

মঈনুদ্দিন-আশরাফুজ্জামানকে ফেরাতে সহায়তার আশ্বাস

সাবিনা আক্তারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে কোনো প্রবাসী বাঙালি মামলা-মোকদ্দমায় পড়ে সেখানে কার কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারে, সেই সহায়তা কী রকম এসব নিয়ে কথা হয়েছে। আমি ওনাকে আমাদের ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশনের কথা বলেছি। জানিয়েছি যখনই কোনো সমস্যা আমাদের গোচরে আসে আমরা চেষ্টা করি কীভাবে প্রবাসী বাঙালিদের সাহায্য করা যায় সেই পথ খুঁজে তাদের সাহায্য করার জন্য।’

আনিসুল হক বলেন, ‘এ ছাড়া বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি সাবিনা আক্তারের সহাযোগিতা চেয়েছি। তাকে মামলার প্রেক্ষাপট বুঝিয়েছি। ১৯৭১ সালের যে গণহত্যা সেটার কথা বলেছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিটেন অত্যন্ত প্রচীন গণতান্ত্রিক দেশ, সেক্ষেত্রে এসব সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।’

তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘না তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ওনার সঙ্গে কোনো আলোচনা করিনি।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test