E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ছানি অপারেশন 

দৃষ্টি হারানো ২০ জনের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

২০১৮ এপ্রিল ০১ ১৫:৫১:৪৮
দৃষ্টি হারানো ২০ জনের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিয়ে ‘চোখ হারানো’ ২০ জনের প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

রিটে গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালে তিন দিনের চক্ষু শিবিরে ২০ জনের চোখ অস্ত্রোপচারে যথাযথ ও পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জনের প্রত্যেককে কেন ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মেও রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট অমিত দাসগুপ্ত এই রিট দায়ের করেন।

রিটে প্রয়োজনীয় নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়সারাভাবে চক্ষু অপারেশন করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে স্বাস্থ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন, ডিসি ও এসপি, ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ডা. মোহাম্মদ শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আজই ওই রিটের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট অমিত দাসগুপ্ত।

তিনি বলেন, গত ২৯ মার্চ দৈনিক সমকালে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শীর্ষক শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনযুক্ত হাইকোর্টে রিট করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালে ২০ নারী-পুরুষ চোখের ছানির অপারেশন করেন। আর ছানি অপারেশন করেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকায় নিয়োগকৃত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মেদ সাহিন।

এদিকে অপারেশনের দু’দিনের মাথায় অপরেশনকৃত ২০ রোগীর মধ্যে অসহায় ও হতদরিদ্র ১৯ রোগীর চোখে পচন শুরু হয় এতে রোগীরা চোখের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ছুটে আসেন ইমপ্যাক্ট হাসপাতালে।

হাসপাতাল কর্তৃকপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ৯ মার্চ ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের দ্রুত ম্যানেজ করে ও ভুক্তভোগীরা যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারে সেই ব্যাপারে রোগীদের সার্বিক সহযোগিতার কথা ও উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দিতে থাকে।

চিকিৎসা দিয়েও যখন চোখের পচনরোধ করা সম্ভব হয়নি তখন রোগীদের ম্যানেজ করে গত ২০ মার্চ তাদের চোখ তুলে ফেলা হয়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test