E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্রসফায়ারে মৃত্যু, ওয়ারীর ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

২০১৮ এপ্রিল ১১ ১৬:৩৫:০৫
ক্রসফায়ারে মৃত্যু, ওয়ারীর ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাপ্তান বাজারে ক্রসফায়ারে রাকিব হাওলাদার (১৫) নামে কিশোর নিহতের ঘটনায় ওয়ারী থানার পরিদর্শকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মামলাটি করেন নিহত রাকিব হাওলাদারের মা রীতা আক্তার (৩৩)। নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ২০১৩ সালের ১৫ (১,২,৩ ও ৪) ধারায় মামলাটি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক জ্যোতি, পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম ও সোর্স মোশারফ। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে পাঁচজনকে।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এমদাদুল হক লাল ও মোস্তাক আহম্মেদ। আইনজীবী এমদাদুল হক লাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাকিব হাওলাদার (১৫) বাসা হতে বের হয়ে কাপ্তান বাজার পল্ট্রি মোড়ে পান আনতে যান। এ সময় কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়ায় তাকে ওয়ারী থানায় ধরে আনা হয়।

মামলার বাদী খবর পেয়ে থানায় পৌঁছে উপ-পরিদর্শক জ্যোতিকে তার ছেলেকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চান। জবাবে উপ-পরিদর্শক জ্যোতি জানায় এখন কিছুই বলতে পারব না। তথ্য যাচাই চলছে, তুমি এখন চলে যাও।

এ সময় থানায় বাদী তার ছেলের চিৎকার শুনতে পায়। তখন তাকে ওসি রফিকুল ইসলাম থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তিনি বের হতে না চাইলে তাকে গুলির হুমকি দেন মামলার আসামিরা। এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

পরে রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বোরকা পরে আবার থানায় আাসেন বাদী। তখন ওসি রুমের দরজা বন্ধা দেখতে পান তিনি। বাইর থেকে মনে হচ্ছিল ভিতরে কিছু হচ্ছে। তিনি ধাক্কা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখেন তার ছেলের কাপড় দিয়ে বাধা ও হাত কড়া পড়ানো। এরপর আসামিরা তাকে আবার থানা থেকে বের করে দেয়।

পরের দিন সকালে বাদী তার ছেলের জন্য খাবার কিনে থানায় গেলে আসামি উপ-পরিদর্শক জ্যোতি তার খাবার ফেরত দেয়। বাদী তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ওসি তদন্ত তাকে বলেন, তোকে (বাদী) থানার আশপাশে দেখলে গ্রেফতার করব। বাদী তখন ভয়ে থানা থেকে বের হয়ে যায়।

৬ এপ্রিল আবার ছেলের খবর নিতে গেলে কেউও তার ছেলের খবর দেয়নি। সকাল ১১টায় বাদীর পিতা তাকে ফোন করে জানান, নাতী (বাদীর ছেলেকে) ক্রসফায়ারে মারা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আছে। বাদী ঢামেকে গিয়ে দেখতে পায় তার ছেলের ডান হাত ভাঙা, মাথা ফাটা, পেটে আঘাতের চিহ্ন, পা দুটি জোড়ায় জোড়ায় থেতলানো ও ভাঙা।

ঘটনার পর বাদীর বাসায় থানা হতে বিভিন্ন লোক এসে মামলা না করা এবং মামলা করলে মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকি দেয়। তাই বাদী নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test