E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পত্নীতলায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী বাবুল হোসেন

২০১৮ মার্চ ০৫ ১৭:০১:২৩
পত্নীতলায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী বাবুল হোসেন

আর আই সবুজ, নওগাঁ প্রতিনিধি : হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নওগাঁ পতœীতলার  মোঃ বাবুল হেসেন । অভাবের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। তার এ সফলতা দেখে এখন এলাকার অনেকেই হাঁস পালন করছেন।দিন মজুর থেকে এখন ক্ষুদ্র উদ্যোগতা বাবুল হোসেন উপজেলার হাসঁচাষীদের মডেল।

বাবুল হেসেনে নওগাাঁর পত্নীতলা উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের –মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে , স্ত্রী নয়ন আক্তার, এবং তিন ছেলে নাঈম,মোস্তফা তামিম,আবদুল্লাহ আল নাহিদ পাচঁজন সদস্যর পরিবার ,প্রায় ১৫ বছর আগে ২০ টি খাকি দেশী প্রজাতির হাঁস নিয়ে পালন শুরু করেন। এরপর হাঁস পালনের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে তার খামারে ক্যাম্বেল, জেলডিন, খাকি, রানা প্রজাতিরসহ ৫২৮’টি হাঁস আছে। এর মধ্যে পুরুষ/নর হাঁস আছে ৫০ টি। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় ৪০০শ’ ডিম পান। পাইকারী দরে একশ’টি ডিম ১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা আয়। এবং ১ হাজার টাকার মতো হাঁসের খাবারে জন্য খরচ হয়।

হাঁসের জন্য ধান, গম, ফিড খাওয়ানো হয়। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০-২৫০ টি ডিম দেয়। এভাবে দুই বছর ডিম দেওয়ার পর সবগুলো হাঁস বিক্রি করে দেওয়া হয়। ঢাকা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বড় ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যান। একশটি হাঁস প্রায় ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া খুচরাও ২৫০-৩০০ টাকা পিচ বিক্রি করা হয়।

তার এ কাজে সহযোগিতা করেন তার ছেলেরা ও তার স্ত্রী নয়ন আক্তার।তারা হাঁসগুলোকে মাঠে ,বিলে ও নদীতে চরাাই এছাড়া তারা উপজেলার বাহিরেও নিয়ে যান হাসঁ চড়াতে ,বাবুল হোসেন বলেন কিছু দিন আগে সে হাসঁগুরোকে নিয়ে বাগমারা উপজেলাতে ছিলেন বেশকিছু দিন ।হাসঁ বাহিরে চড়ানোর কারনে হাঁসেরুু খাবারের খরচ কম হয় ,এতে লাভ বেশী হয়,তার উন্নতী দেখে এখন এলাকার অনেক লোক হাঁস পালন আগ্রহী হয়েছেন । তারাও স্বাবলম্বী হওয়া চেষ্টা করছেন।

বাবুল হোসেন জানান হাঁস পালনের বড় সমস্যা ডাক প্লেগ রোগ। এ রোগ হলে হাঁস বাচাঁনো সম্ভব হয় না। তবে সে এখনো এরকম বড় সমস্যায় পড়ে নি । । কোন ধরনের বড় সমস্যায় পড়লে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকি।হাঁসের চিকিৎসা হিসাবে তিনি রেনামাইসিন, ডক্সী এ ভিট, হাইকোমক্স ব্যবহার করেন।

তিনি আরো জানান, আজ থেকে ১৫ বছর আগে অন্যের বাড়িতে কামলা (শ্রম বিক্রি) দিতেন। সংসারে অনেক অভাব অনাটন ছিল,নুন আনতে পান্তা ফুরাই ,অনেক সময় পরিবার নিয়ে উপোস থাকতে হয়েছে, এখন হাঁস পালন করে আগের তুলনায় এখন অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। জমি কিনেছেন, বাড়ী করেছেন, মোট কথা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন ।

(আরএস/এসপি/মার্চ ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test