E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আনোয়ার হোসেনের কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন

২০১৬ জুন ১০ ১৪:১৮:২০
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আনোয়ার হোসেনের কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন

দিনাজপুর প্রতিনিধি : ক্ষেতের মধ্যেই ধান কাটাই মাড়াই ও বস্তা ভর্তি করণের কাজে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনের উদ্ভাবিত কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন।

কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন অর্ধেক মজুর খরচেই স্বল্প সময়ে দ্বিগুণ পরিমাণ জমির ধান কাটতে সক্ষম হওয়ায় কৃষকরা একদিকে যেমন আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হচ্ছেন, তেমনি মজুর সংকটের হাত থেকে রেহাইও পাচ্ছেন। দুঃশ্চিন্তামুক্ত থাকছেন ধান কাটাই, মাড়াই নিয়ে।

উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের বোরো চাষী জাকির হায়দার, মজিবর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও চিরিরবন্দরের রমজান আলী বলেন, এ বছর মজুর সংকটের কারণে প্রতি একর জমির ধান কাটাই, মাড়াইয়ে মজুর খরচ পড়ছে একর প্রতি ৯ থেকে ১০হাজার টাকা। এরপরও মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তারা আগেভাগেই আনোয়ার হোসেনের মেশিন চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় ক্ষেতের ধান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। কম্বাইন্ড মেশিন দিয়ে ধান কাটাই, মাড়াইয়ে খরচ পড়ছে একর প্রতি আড়াই হাজার টাকা।

কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিনের উদ্ভাবক উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত পল্লী চিকিৎসক আলাউদ্দিনের জ্যেষ্ঠ ছেলে পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বলেন, নিজস্ব চিন্তাধারার মাধ্যমে ২০০৮সালে নিজস্ব প্রযুক্তিতে ক্ষেতের ধান কাটাই, মাড়াই ও বস্তা ভর্তিকরণের জন্য কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন তৈরির কাজে হাত দেন। এই মেশিন তৈরির কাজ করতে গিয়ে নিজের সামান্য চার বিঘা জমির সবটাই অন্যের কাছে বন্ধকী রেখে অর্থ নিয়ে কাজ শুরু করায় প্রথম দিকে এলাকাবাসী তার কাজকে পাগলামী বলে ঠাট্টা করতো। সবকিছুকে উপেক্ষা করে ২০০৮সালেই প্রথম বোরো ধান কাটাই, মাড়াইয়ের কাজে হাত দেন তার উদ্ভাবিত কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন দিয়ে। সে সময় জমিতে তার মেশিন দিয়ে একই সাথে জমির ধান কাটাই, মাড়াই ও জমিতেই বস্তা ভর্তিকরণ দেখে তাক গেলে যান এলাকাবাসী।

সারাদিনে তার মেশিন দিয়ে ১০একর জমির ধান কাটাই, মাড়াইসহ সার্বিক কাজ করছেন। এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ২৫হাজার টাকা। একই পরিমাণ জমির ধান মজুর দিয়ে কাটতে গেলে খরচ পড়তো ৪৫ থেকে ৪৮হাজার টাকা। এ বছর দু’টি মেশিন দিয়ে কাজ করছেন। কৃষকের চাহিদা থাকলেও মেশিনের অভাবে কৃষকদের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। সরকারিভাবে এ কাজের জন্য তেমন সহযোগিতা না পেলেও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কৃষি পদক।

(এসিজি/এএস/জুন ১০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test