E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে উচ্চহারে কর আরোপের দাবি

২০১৯ জানুয়ারি ২৯ ১৩:২৮:১৬
ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে উচ্চহারে কর আরোপের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে উচ্চহারে কর আরোপ করার দাবি জানিয়েছে একাধিক তামাকবিরোধী সংগঠন। সেই সঙ্গে সকল চর্বনযোগ্য তামাক কোম্পানিকে নির্দিষ্ট করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তালিকাভুক্ত করে করের আওতায় আনা এবং তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ও ব্যান্ডরোল নিশ্চিত করার দাবিও জানান তারা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিভিন্ন তামাকবিরোধী জোটের আয়োজনে ‘রাজস্ব ফাঁকি দেয়া ধোঁয়াবিহীন তামাক কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এইড ফাউন্ডেশন, ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, নাটাক, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল, ওয়ার্ক ফর অ্যা বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট।

বক্তারা বলেন, ‘তামাকের প্রকৃত মূল্য বাড়লে তামাক ব্যবহার কমে-এটা বিভিন্ন দেশে প্রমাণিত। নরওয়ে, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধির ফলে এর ব্যবহার কমেছে। বাংলাদেশ এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের কর বৃদ্ধি সময়ের দাবি।’

তারা বলেন, ‘ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের রাজস্ব ফাঁকি দেয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা একান্ত প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পুরো ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করার পাশাপাশি কর আদায়ের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’

টেকসই উন্নয়নের জন্য কর আরোপ অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করেন বক্তারা। তারা বলেন, ‘এটি টেকসই রাষ্ট্রের মূল কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তামাকের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্যের ওপর কর আরোপ জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ সর্বোপরি রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাকের কর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি জরুরি বিষয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রত্যয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তামাক কোম্পানির বিভ্রান্তিকর তথ্যে জনগণ আর প্রভাবিত হচ্ছে না।’ আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে, সর্বোপরি জনস্বার্থে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, কর বৃদ্ধি এবং কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ফাঁকির জবাবদিহিতা অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তারা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের ফোকাল পারসন অধ্যাপক রুমানা হক, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অনন্যা রহমান, দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ২৯,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test