E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সোনাতলায় বাঙালি নদীতে তীব্র ভাঙন, হুমকির মুখে মন্দিরসহ বসতবাড়ি

২০২৫ আগস্ট ২৬ ১৮:০১:৫৮
সোনাতলায় বাঙালি নদীতে তীব্র ভাঙন, হুমকির মুখে মন্দিরসহ বসতবাড়ি

বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : নদীর একূল ভাঙ্গে ওকূল গড়ে এইতো নদীর খেলা। এই গানের সাথে বাস্তবে মিল খুঁজে পাওয়া গেল বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নামাজখালি দক্ষিণ ঘোষপাড়ায়। ফলে এবারের শারদীয় দুর্গা উৎসব পুরো উপজেলায় আনন্দের জোয়ারে ভাসলেও দুশ্চিন্তার ছাপ ঘোষ পরিবারগুলোর চোখে মুখে। 

সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, বাঙালি নদীতে প্রবল স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীর তীরে। আর সেই ভাঙন প্রায় ঠেকেছে নামাজখালী দক্ষিণ পাড়া মন্দির সংলগ্ন এসে।

নামাজখালী দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি বামেশ চন্দ্র ঘোষ প্রতিবেদককে জানান, বাঙালি নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আমাদের বাড়িঘর ভিটেমাটি ইতিপূর্বে দু-বার নদী গর্ভে বিলীন হয়। ফলে ভিটামাটি হারিয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে অন্যের দেওয়া জমিতে প্রায় কুড়ি বছর যাবত আমরা ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছি।

শ্রীদাম ঘোষ জানালেন, একদিকে বর্ষা মৌসুমে নদী ফুলে ফেঁপে বিশাল জলরাশিতে পরিনত হয় আর অন্যদিকে শুরু হয় নদীর পার ভাঙন। তিনি হাত বাড়িয়ে দেখাচ্ছিলেন প্রায় ৩০/৪০ হাত দূরে নদীর অবস্থান ছিলো। সেই নদী ভাঙতে ভাঙতে আমাদের পাড়ায় এসে ঠেকেছে।

জয়ন্তী রানী ঘোষ জানান, আমাদের ধর্মীয় সকল প্রকার উৎসব এই মন্দিরে পালন করে আসছি। সম্প্রতি এবারের বর্ষায় নদীর পার ভাঙনের ফলে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি পার বেঁধে দিতো তাহলে বাচতো গ্ৰাম রক্ষা হতো মন্দির। এরফলে আমরা আমাদের ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান শান্তিতে পালন করতে পারতাম।

শিশির ঘোষ জানালেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নদীর পার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ কারণেই এবারের শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।

সোনাতলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেলাল বলেন, নদী ভাঙনের মুখে ইতিপূর্বে নামাজখালী দক্ষিণ ঘোষপাড়া নদী গর্ভে বিলীন হয়েছিল। এবারো নদী ভাঙনের মুখে এতে করে আতংকে আছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এরফলে ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজনেরা দুর্গা পূজা উদযাপন নিয়ে বেশ টেনশনে রয়েছেন। আমি পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, নামাজখালী দক্ষিণ ঘোষপাড়ার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং ওই বিষয়ে দরখাস্ত পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে তীর সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএস/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৬ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test